alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীর খাল রক্ষায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

: রোববার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর আরও ৩০টি খালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি)। এর আগে ২৬টি খালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পাওয়ার পর সেসব খাল রক্ষায় নগর কর্তৃপক্ষ কতটা সফল হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে রাজধানীর খালগুলো হস্তান্তরের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে। অবৈধ দখল এবং বর্জ্যরে কারণে অনেক খাল অস্তিত্ব হারিয়েছে, অনেকগুলো মৃতপ্রায়। এমন খালও রয়েছে যেগুলোর নাম শুধু কাগজে-কলমেই খুঁজে পাওয়া যায়। আশা করা হয়েছিল, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব পেলে খালগুলো রক্ষা করা সহজ হবে। দায়িত্ব বুঝে পাওয়া খালগুলো পরিষ্কার করার অভিযানও শুরু হয়।

রাজধানীর খাল সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ রয়েছে। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে প্রভৃতি কাজে তাদের সংশ্লিষ্টদের দূরদর্শীতার ঘাটতি রয়েছে। বর্ষার আগে সংস্কার করা হলে খালের গভীরতা বাড়ানো সহজ হয়। কিন্তু সময়মতো সংস্কারের কাজ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার যে কাজ করার কথা দুই মাসে, সেই কাজ কোনমতে এক মাসে করা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দুর্বলতা। অপসারিত বর্জ্য খালের তীরেই ফেলে রাখা হয়। পরবর্তীতে সেই বর্জ্য আবারো খালে গিয়ে জমে। এজন্য খাল সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ সুফল মিলছে না বা স্থায়ী হচ্ছে না। এতে অর্থের যেমন অপচয় হয় তেমনি অভিযানের লক্ষ্য অধরাই থেকে যায়।

খাল থেকে বর্জ্য পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনেক অধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহন রয়েছে। কাজেই অপসারিত বর্জ্য খালের তীরে না রেখে সরাসরি এসব যানবাহনে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করা যায়।

টেকসইভাবে খাল সংস্কারের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। শুধু নালা বা খাল পরিষ্কার করলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। নগরের বসিন্দারা যাতে খালে বর্জ্য না ফেলেন সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। পয়ঃবর্জ্য যেন কোনো খালে না যায়, সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। রাজধানীর খাল রক্ষায় দুই সিটি করপোরেশন সফল হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীর খাল রক্ষায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

রোববার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর আরও ৩০টি খালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি)। এর আগে ২৬টি খালের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পাওয়ার পর সেসব খাল রক্ষায় নগর কর্তৃপক্ষ কতটা সফল হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে রাজধানীর খালগুলো হস্তান্তরের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে। অবৈধ দখল এবং বর্জ্যরে কারণে অনেক খাল অস্তিত্ব হারিয়েছে, অনেকগুলো মৃতপ্রায়। এমন খালও রয়েছে যেগুলোর নাম শুধু কাগজে-কলমেই খুঁজে পাওয়া যায়। আশা করা হয়েছিল, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব পেলে খালগুলো রক্ষা করা সহজ হবে। দায়িত্ব বুঝে পাওয়া খালগুলো পরিষ্কার করার অভিযানও শুরু হয়।

রাজধানীর খাল সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ রয়েছে। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে প্রভৃতি কাজে তাদের সংশ্লিষ্টদের দূরদর্শীতার ঘাটতি রয়েছে। বর্ষার আগে সংস্কার করা হলে খালের গভীরতা বাড়ানো সহজ হয়। কিন্তু সময়মতো সংস্কারের কাজ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার যে কাজ করার কথা দুই মাসে, সেই কাজ কোনমতে এক মাসে করা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দুর্বলতা। অপসারিত বর্জ্য খালের তীরেই ফেলে রাখা হয়। পরবর্তীতে সেই বর্জ্য আবারো খালে গিয়ে জমে। এজন্য খাল সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ সুফল মিলছে না বা স্থায়ী হচ্ছে না। এতে অর্থের যেমন অপচয় হয় তেমনি অভিযানের লক্ষ্য অধরাই থেকে যায়।

খাল থেকে বর্জ্য পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনেক অধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহন রয়েছে। কাজেই অপসারিত বর্জ্য খালের তীরে না রেখে সরাসরি এসব যানবাহনে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করা যায়।

টেকসইভাবে খাল সংস্কারের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। শুধু নালা বা খাল পরিষ্কার করলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। নগরের বসিন্দারা যাতে খালে বর্জ্য না ফেলেন সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। পয়ঃবর্জ্য যেন কোনো খালে না যায়, সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। রাজধানীর খাল রক্ষায় দুই সিটি করপোরেশন সফল হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top