alt

opinion » editorial

কর্মসৃজন প্রকল্পে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধে বিলম্ব কেন

: রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন ১ হাজার ২৪৯ জন শ্রমিক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ইউজিপি প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছেন তারা। কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ২ মাস আগে। কিন্তু শ্রমিকরা আজও মজুরি পাননি। মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিকদের বিল দেয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই বিল পেয়ে যাবেন।

শুধু ঘোড়াঘাটেই নয়, কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করেও যথাসময়ে মজুরি না পাওয়ার ঘটনা অন্যান্য স্থানেও অতীতে ঘটেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায়, শ্রমিকরা প্রকল্পের কাজ শেষ করেও মজুরি পান না। অতিদরিদ্র মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা যদি যথসময়ে মজুরি না পান তাহলে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকে শ্রমিককে ধার-কর্জ করে চলতে হয়। ঋণ নিয়ে সুদ পরিশোধ করতে হয়। যারা যথাসময়ে টাকা পান না তারা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন। ঘোড়াঘাটে এমন অনেক শ্রমিক সময়মতো মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে কর্মক্ষম প্রান্তিক দুস্থ পরিবারের মানুষের স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কারের মতো কার্যক্রম চালানো হয়।

আমরা বলতে চাই, শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কালবিলম্ব কাম্য নয়। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। দ্রুত বিল ছাড় করা হবে, শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি পাবেন এটাই আমরা চাই। ভবিষ্যতে কর্মসৃজন প্রকল্পে যেন আর কোনো শ্রমিককে মজুরি-বিড়ম্বনায় না পড়তে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

কর্মসৃজন প্রকল্পে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধে বিলম্ব কেন

রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন ১ হাজার ২৪৯ জন শ্রমিক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ইউজিপি প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছেন তারা। কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ২ মাস আগে। কিন্তু শ্রমিকরা আজও মজুরি পাননি। মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিকদের বিল দেয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই বিল পেয়ে যাবেন।

শুধু ঘোড়াঘাটেই নয়, কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করেও যথাসময়ে মজুরি না পাওয়ার ঘটনা অন্যান্য স্থানেও অতীতে ঘটেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায়, শ্রমিকরা প্রকল্পের কাজ শেষ করেও মজুরি পান না। অতিদরিদ্র মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা যদি যথসময়ে মজুরি না পান তাহলে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকে শ্রমিককে ধার-কর্জ করে চলতে হয়। ঋণ নিয়ে সুদ পরিশোধ করতে হয়। যারা যথাসময়ে টাকা পান না তারা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন। ঘোড়াঘাটে এমন অনেক শ্রমিক সময়মতো মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে কর্মক্ষম প্রান্তিক দুস্থ পরিবারের মানুষের স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কারের মতো কার্যক্রম চালানো হয়।

আমরা বলতে চাই, শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কালবিলম্ব কাম্য নয়। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। দ্রুত বিল ছাড় করা হবে, শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি পাবেন এটাই আমরা চাই। ভবিষ্যতে কর্মসৃজন প্রকল্পে যেন আর কোনো শ্রমিককে মজুরি-বিড়ম্বনায় না পড়তে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।

back to top