মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। অন্তহীন এই লড়াইয়ে অনেকের পকেট খালি হয়ে গেছে। কারও কারও মাথায় চেপেছে ঋণের বোঝা। গত বছরের শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতির গতি কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। আশা করা হচ্ছিল, জিনিসপত্রের দামের এই গতি নিম্নমুখীই হয়তো থাকবে। কারণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানাকে প্রধানতম কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। অবশ্য খাদ্য মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কিছুটা কমেছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে, আর ডিসেম্বরে সেটা ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ডিসেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
চলতি মাসেও জিনিসপত্রের দাম নিয়ে হতাশার কথাই শোনা যাচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিত্যপণ্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অবশ্য অনেক সবজির দাম এখন পড়তির মুখে। বাজারে একটি পণ্যের দাম কমে তো আরেকটির দাম বাড়ে। যে গতিতে দাম বাড়ে বা যত বাড়ে সেই গতিতে বা তত দাম কমে না।
দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির ভার সওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি।
জিনিসপত্রের দামের লাগাম আর কবে টেনে ধরা হবে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নানা পরিকল্পনার কথা বলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে। এর ফল দৃশ্যমান হতে হয়তো সময় লাগবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এতে আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা মনে করছেন, ডলার সংকট, অর্থ পাচার, খেলাপি ঋণের মতো অর্থনীতির গভীর সংকট দূর করা না গেলে মূল্যস্ফীতির মুখে টেকসইভাবে লাগাম পরানো কঠিন হবে। বিষয়গুলো সরকারের অজানা নয়। অর্থনীতির বড় বড় সমস্যা নিয়েও নানা পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পাবে, তার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি টেকসইভাবে কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে- এটাই আমাদের চাওয়া।
রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। অন্তহীন এই লড়াইয়ে অনেকের পকেট খালি হয়ে গেছে। কারও কারও মাথায় চেপেছে ঋণের বোঝা। গত বছরের শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতির গতি কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। আশা করা হচ্ছিল, জিনিসপত্রের দামের এই গতি নিম্নমুখীই হয়তো থাকবে। কারণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানাকে প্রধানতম কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। অবশ্য খাদ্য মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কিছুটা কমেছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে, আর ডিসেম্বরে সেটা ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ডিসেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
চলতি মাসেও জিনিসপত্রের দাম নিয়ে হতাশার কথাই শোনা যাচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিত্যপণ্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অবশ্য অনেক সবজির দাম এখন পড়তির মুখে। বাজারে একটি পণ্যের দাম কমে তো আরেকটির দাম বাড়ে। যে গতিতে দাম বাড়ে বা যত বাড়ে সেই গতিতে বা তত দাম কমে না।
দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির ভার সওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি।
জিনিসপত্রের দামের লাগাম আর কবে টেনে ধরা হবে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নানা পরিকল্পনার কথা বলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে। এর ফল দৃশ্যমান হতে হয়তো সময় লাগবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এতে আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা মনে করছেন, ডলার সংকট, অর্থ পাচার, খেলাপি ঋণের মতো অর্থনীতির গভীর সংকট দূর করা না গেলে মূল্যস্ফীতির মুখে টেকসইভাবে লাগাম পরানো কঠিন হবে। বিষয়গুলো সরকারের অজানা নয়। অর্থনীতির বড় বড় সমস্যা নিয়েও নানা পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পাবে, তার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি টেকসইভাবে কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে- এটাই আমাদের চাওয়া।