alt

মতামত » সম্পাদকীয়

এখনো কেন চালু হলো না ট্রমা সেন্টার

: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের যাতে দ্রুত ও জরুরি চিকিৎসা দেয়া যায় সে উদ্দেশ্য নিয়ে মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয় সরকার। দেশে সড়কের পাশে এরকম ২১টি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের মুলিবাড়ী একটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। প্রায়ই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। আর এসব দুর্ঘটনায় আহতের চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ১ নভেম্বর নির্মাণকাজ শেষে ঠিকাদার এটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেন।

কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও জনবল নিয়োগ না দেয়ায় আজও চালু হয়নি ট্রমা সেন্টারটি। কবে নাগাদ চালু হবে, তা-ও সংশ্লিষ্টরা কেউ জানেন না। দেখভালের অভাবে অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। মূল্যবান সরঞ্জামাদিও চুরি হচ্ছে। গত বছর নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ট্রমা সেন্টারের ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এত টাকার ট্রমা সেন্টার তাহলে কি অর্থহীন হয়ে পড়বেÑ এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মাঝে।

দুর্ঘটনা বলেকয়ে আসে না। কিন্তু দুর্ঘটনায় আহতদের যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া যায় তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। এ কারণে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়ীতে যে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটি একটি ভালো উদ্যোগই। কিন্তু সেটি যদি চালু না হয় তাহলে তো আসল উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না।

জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রমা সেন্টার চালুর প্রশাসনিক অনুমতি মিলেছে। জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে সেন্টারটি চালু করা যায়নি। তবে এটির কার্যক্রম শুরু করতে আরও কত দিন অপেক্ষা করতে হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। জনবল ও ওষুধের চাহিদার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিলেই ট্রমা সেন্টার চালু হতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

ট্রমা সেন্টারে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের জন্য ডরমিটরি বিল্ডিং, আধুনিকমানের অপারেশন থিয়েটার রুমসহ দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের সর্বাধুনিক চিকিৎসরা উপযোগী স্থাপনা রয়েছে। এখন শুধু জনবলের অভাবে ১১ কোটি টাকার ট্রমা সেন্টার অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে সেটা মেনে নেয়া যায় না।

ট্রমা সেন্টারের সবকিছুই ঠিক আছে, নেই শুধু জনবল। এত দিন হয়ে গেল, তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে কেন এত গড়িমসি করছে, সেটা একটা প্রশ্ন। আমরা চাই ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করা হোক। ট্রমা সেন্টার চালু করার পেছনে কী কী বাধা আছে, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেটাও আমরা দেখতে চাই।

ট্রমা সেন্টারের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব মূল্যবান যন্ত্রপাতি সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গত বছর ট্রমা সেন্টারে ট্রান্সফরমারসহ আরও কিছু সরঞ্জামাদি চুরি হয়েছিল। এখনও সেখানে চুরি হচ্ছে। কারা এসব চুরির সঙ্গে জড়িত সেটা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

এখনো কেন চালু হলো না ট্রমা সেন্টার

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের যাতে দ্রুত ও জরুরি চিকিৎসা দেয়া যায় সে উদ্দেশ্য নিয়ে মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয় সরকার। দেশে সড়কের পাশে এরকম ২১টি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের মুলিবাড়ী একটি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। প্রায়ই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। আর এসব দুর্ঘটনায় আহতের চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ১ নভেম্বর নির্মাণকাজ শেষে ঠিকাদার এটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেন।

কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও জনবল নিয়োগ না দেয়ায় আজও চালু হয়নি ট্রমা সেন্টারটি। কবে নাগাদ চালু হবে, তা-ও সংশ্লিষ্টরা কেউ জানেন না। দেখভালের অভাবে অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। মূল্যবান সরঞ্জামাদিও চুরি হচ্ছে। গত বছর নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ট্রমা সেন্টারের ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এত টাকার ট্রমা সেন্টার তাহলে কি অর্থহীন হয়ে পড়বেÑ এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মাঝে।

দুর্ঘটনা বলেকয়ে আসে না। কিন্তু দুর্ঘটনায় আহতদের যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া যায় তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। এ কারণে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়ীতে যে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছিল, সেটি একটি ভালো উদ্যোগই। কিন্তু সেটি যদি চালু না হয় তাহলে তো আসল উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না।

জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রমা সেন্টার চালুর প্রশাসনিক অনুমতি মিলেছে। জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে সেন্টারটি চালু করা যায়নি। তবে এটির কার্যক্রম শুরু করতে আরও কত দিন অপেক্ষা করতে হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। জনবল ও ওষুধের চাহিদার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিলেই ট্রমা সেন্টার চালু হতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

ট্রমা সেন্টারে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের জন্য ডরমিটরি বিল্ডিং, আধুনিকমানের অপারেশন থিয়েটার রুমসহ দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের সর্বাধুনিক চিকিৎসরা উপযোগী স্থাপনা রয়েছে। এখন শুধু জনবলের অভাবে ১১ কোটি টাকার ট্রমা সেন্টার অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে সেটা মেনে নেয়া যায় না।

ট্রমা সেন্টারের সবকিছুই ঠিক আছে, নেই শুধু জনবল। এত দিন হয়ে গেল, তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে কেন এত গড়িমসি করছে, সেটা একটা প্রশ্ন। আমরা চাই ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করা হোক। ট্রমা সেন্টার চালু করার পেছনে কী কী বাধা আছে, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেটাও আমরা দেখতে চাই।

ট্রমা সেন্টারের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব মূল্যবান যন্ত্রপাতি সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গত বছর ট্রমা সেন্টারে ট্রান্সফরমারসহ আরও কিছু সরঞ্জামাদি চুরি হয়েছিল। এখনও সেখানে চুরি হচ্ছে। কারা এসব চুরির সঙ্গে জড়িত সেটা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top