alt

সম্পাদকীয়

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

: সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

যশোরের চৌগাছার ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিশেষজ্ঞ) চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। চৌগাছায় ৩টি পদে পোস্টিং থাকলেও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) প্রেষণে অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন আর জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে চলে গেছেন। অন্যদিকে আরও একজন চিকিৎসক দশ বছর ধরে কর্মস্থলে আসেন না। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, তিনজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং তিনজন প্রেষণে অন্যত্র চলে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতালটিতে চরম চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মানুষ কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে এই হাসপাতালের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। অন্যান্য সেবার মানও ভালো। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ জন রোগী ভর্তি হন। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো হওয়ায় ঝিকরগাছা, শার্শা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা এবং মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।

হাসপাতালটিতে এমনিই লোকবল সংকটে ভুগছে, তার ওপর যে কজন রয়েছেন তাদের প্রেষণে কেন পাঠানো হলো সেটা একটা প্রশ্ন। হাসপাতালের মতো একটা সেবাকেন্দ্রের চিকিৎসকরা এভাবে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকবেন সেটা হতে পারে না। এর একটি সুরাহা করতে হবে।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যারা অনুপস্থিত রয়েছেন সেসব চিকিৎসককে বারবার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। সিভিল সার্জন নোটিশও করেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা বলতে চাই, হাসপাতালে যে পদগুলো শূন্য রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। প্রসূতি ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের যে সুনাম রয়েছে তা অক্ষত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

যশোরের চৌগাছার ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিশেষজ্ঞ) চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। চৌগাছায় ৩টি পদে পোস্টিং থাকলেও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) প্রেষণে অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন আর জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে চলে গেছেন। অন্যদিকে আরও একজন চিকিৎসক দশ বছর ধরে কর্মস্থলে আসেন না। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, তিনজন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং তিনজন প্রেষণে অন্যত্র চলে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতালটিতে চরম চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মানুষ কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে এই হাসপাতালের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। অন্যান্য সেবার মানও ভালো। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ জন রোগী ভর্তি হন। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো হওয়ায় ঝিকরগাছা, শার্শা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা এবং মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।

হাসপাতালটিতে এমনিই লোকবল সংকটে ভুগছে, তার ওপর যে কজন রয়েছেন তাদের প্রেষণে কেন পাঠানো হলো সেটা একটা প্রশ্ন। হাসপাতালের মতো একটা সেবাকেন্দ্রের চিকিৎসকরা এভাবে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকবেন সেটা হতে পারে না। এর একটি সুরাহা করতে হবে।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যারা অনুপস্থিত রয়েছেন সেসব চিকিৎসককে বারবার কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। সিভিল সার্জন নোটিশও করেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা বলতে চাই, হাসপাতালে যে পদগুলো শূন্য রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। প্রসূতি ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালের যে সুনাম রয়েছে তা অক্ষত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top