alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

: সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০২৪

পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে অকালে মারা গেছে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। এসব মানুষের মধ্যে ৫৫ শতাংশই মারা গেছেন বায়ুদূষণের কারণে। বিশ্বব্যাংকের ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবেশ দূষণের কারণে ২০১৯ সালে দেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা আগেও বলেছেন, রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণকে এখন সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখা হয়। মাটি, পানি, বায়ুর মতো পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের কেবল যে অসুখ-বিসুখই হচ্ছে তা নয়। এতে প্রতিবছর মারাও যাচ্ছে অনেক মানুষ।

পরিবেশ প্রশ্নে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। এদিকে দেশে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। নগর দূষিত হলে এর বাসিন্দাদের ভালো থাকবার কথা নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দূষণের ৩০ ভাগই দায় হচ্ছে পরিকল্পনাহীন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির। ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নেই কোন সমন্বয়। বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, শিল্প কলকারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া, গৃহস্থালি ও রান্নার চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রভৃতির দায়ও রয়েছে।

সরকার পরিবেশ রক্ষায় নানান সময় অনেক অঙ্গীকার করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টা কতটা জোরালো। পরিবেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাইবা কী?

পরিবেশ অধিদপ্তর দুর্বল, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অনেকাংশে অক্ষম ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় দেশে অনেক আইন থাকলেও তার প্রয়োগ হয় সামান্যই। যারা দখল-দূষণের জন্য দায়ী তাদের সঙ্গে অধিদপ্তরের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশের কথা শোনা যায়। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে পরিবেশ রক্ষা পাবে কী করে! পরিবেশকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে হলে সবার আগে শর্ষের মধ্যে থাক ভূত তাড়াতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন প্রয়োগে তৎপর হতে হবে।

পরিবেশদূষণ রোধে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দূষণবিরোধী ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে, তবে পরিবেশকে রক্ষা করাও জরুরি। পরিবেশ বিপন্ন হলে মানুষ বাঁচবে না। দূষণ রোধে নিজেদের কর্তব্য পালন পিছ পা হলে চলবে না। পরিবেশ দূষণ বন্ধে সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০২৪

পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে অকালে মারা গেছে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। এসব মানুষের মধ্যে ৫৫ শতাংশই মারা গেছেন বায়ুদূষণের কারণে। বিশ্বব্যাংকের ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবেশ দূষণের কারণে ২০১৯ সালে দেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা আগেও বলেছেন, রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণকে এখন সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখা হয়। মাটি, পানি, বায়ুর মতো পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের কেবল যে অসুখ-বিসুখই হচ্ছে তা নয়। এতে প্রতিবছর মারাও যাচ্ছে অনেক মানুষ।

পরিবেশ প্রশ্নে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। এদিকে দেশে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। নগর দূষিত হলে এর বাসিন্দাদের ভালো থাকবার কথা নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দূষণের ৩০ ভাগই দায় হচ্ছে পরিকল্পনাহীন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির। ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নেই কোন সমন্বয়। বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, শিল্প কলকারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া, গৃহস্থালি ও রান্নার চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রভৃতির দায়ও রয়েছে।

সরকার পরিবেশ রক্ষায় নানান সময় অনেক অঙ্গীকার করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টা কতটা জোরালো। পরিবেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাইবা কী?

পরিবেশ অধিদপ্তর দুর্বল, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অনেকাংশে অক্ষম ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় দেশে অনেক আইন থাকলেও তার প্রয়োগ হয় সামান্যই। যারা দখল-দূষণের জন্য দায়ী তাদের সঙ্গে অধিদপ্তরের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশের কথা শোনা যায়। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে পরিবেশ রক্ষা পাবে কী করে! পরিবেশকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে হলে সবার আগে শর্ষের মধ্যে থাক ভূত তাড়াতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন প্রয়োগে তৎপর হতে হবে।

পরিবেশদূষণ রোধে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দূষণবিরোধী ভূমিকা পালন করতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে, তবে পরিবেশকে রক্ষা করাও জরুরি। পরিবেশ বিপন্ন হলে মানুষ বাঁচবে না। দূষণ রোধে নিজেদের কর্তব্য পালন পিছ পা হলে চলবে না। পরিবেশ দূষণ বন্ধে সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top