তালিকায় নাম ছিল কিন্তু চাল পাননি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জাটকা শিকার হতে বিরত জেলেদের বরাদ্দের চাল চাল নিয়ে গেছে জনপ্রতিনিধিদের কাছের লোকজন। গত শনিবার কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জে এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন কমবেশি পাঁচশ জেলে। বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, জেলে কার্ড আছে, বরাদ্দকৃত চালের সিøপও রয়েছে এমন অনেকেই চাল পাননি। এর পরিবর্তে মোটরসাইকেল চালক, অটোচালক ও চেয়ারম্যান-মেম্বারের লোক বলে পরিচিত ব্যক্তিরা চাল পেয়েছেন। আবার যেসব জেলে চাল পেয়েছেন তাদের বরাদ্দের চেয়ে কম দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ ছিল ৮০ কেজি, কিন্তু পাওয়া গেছে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি। সেলাই করা বস্তা খুলে আগেই চাল সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরতে বাধ্য হন। এ কারণে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলে মাছ ধরতে পারেন না। বিকল্প কোনো কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোনো আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি তারা না পান, তাহলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচবেন কীভাবে।
আমরা মনে করি, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে। পটুয়াখালিতে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
তালিকায় নাম ছিল কিন্তু চাল পাননি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জাটকা শিকার হতে বিরত জেলেদের বরাদ্দের চাল চাল নিয়ে গেছে জনপ্রতিনিধিদের কাছের লোকজন। গত শনিবার কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জে এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন কমবেশি পাঁচশ জেলে। বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, জেলে কার্ড আছে, বরাদ্দকৃত চালের সিøপও রয়েছে এমন অনেকেই চাল পাননি। এর পরিবর্তে মোটরসাইকেল চালক, অটোচালক ও চেয়ারম্যান-মেম্বারের লোক বলে পরিচিত ব্যক্তিরা চাল পেয়েছেন। আবার যেসব জেলে চাল পেয়েছেন তাদের বরাদ্দের চেয়ে কম দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ ছিল ৮০ কেজি, কিন্তু পাওয়া গেছে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি। সেলাই করা বস্তা খুলে আগেই চাল সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরতে বাধ্য হন। এ কারণে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলে মাছ ধরতে পারেন না। বিকল্প কোনো কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোনো আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি তারা না পান, তাহলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচবেন কীভাবে।
আমরা মনে করি, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে। পটুয়াখালিতে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।