হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ২৩ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নতুন এ মূল্য তালিকায় স্টেন্টগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকায় স্টেন্ট বা রিংগুলো কিনতে পারবেন হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষ।

হৃৎপি-ে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হলে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘœ ঘটে। তখন হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখতে চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে রিং পরানোর পরামর্শ দেন। দেশে এটি হার্টের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। এসব রিং বিদেশ থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিংয়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রতিনিধি ও ইন্টারভেনশন কার্ডিওরেজিস্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে। দেশে বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের রিং ব্যবহার হয়ে আসছে। আগে কমানো হয়েছে তিন ধরনের রিংয়ের এখন ২৩টির। গত মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশপাশি সব হাসপাতালে নতুন এই মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখতে বলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

গত বছর যখন হার্টের তিন ধরনের রিংয়ের দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন রিং ব্যবসায়ীরা এটা মেনে নিতে পারেননি। এটা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। সরকার রিংয়ের দাম কমিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সে সময় অনেক ব্যবসায়ী রিং বিক্রি বন্ধও করে দিয়েছিলেন। এবারও যেন তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে মাথায় রাখতে হবে।

সমস্যা আরও আছে। হার্টের রিং লাগানো নিয়ে দেশে নানা অনিয়ম হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রিং পরানোর নিয়ে নানা কারসাজির শিকার হন রোগীরা। রিং দিচ্ছেন একটা আর দাম নিচ্ছেন আরেকটার এমন অভিযোগ শোনা যায়। আর এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কিছু অসাধু চিকিৎসক।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটা তদারকি করতে হবে। রোগীরা যদি কারসাজির শিকার হন তাহলে এই নতুন দাম নির্ধারণের সুফল পরিপূর্ণভাবে তারা পাবেন না। এক্ষেত্রে রোগীরা যেন কোনো ধরনের কারসাজির শিকার না হন, সেটা নিয়মিত তদারকি করার উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষÑ এটা আমরা আশা করব।

‘সম্পাদকীয়’ : আরও খবর

» গোবিন্দগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ আমলে নিন

» আত্রাই নদীর বালু লুট বন্ধ করুন

» ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মানুষ হত্যা: কঠোর ব্যবস্থা নিন

» অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসনের দুর্বলতা ও পরিবেশের সংকট

» ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

» শেষ না হওয়া সেতু, শেষ না হওয়া ভোগান্তি

» সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা: আদি ও অকৃত্রিম ফ্যাসিবাদের জঘন্য রূপ

» পাহাড় কেটে কেন পানের বরজ?

» মতপ্রকাশের জন্য গ্রেপ্তার: গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়

» সাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশনে জনবল সংকট দূর করুন

» চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সম্প্রতি