alt

opinion » editorial

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বরিশাল অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপমাত্রা যত বাড়ছে, তত বাড়ছে ডায়রিয়া ও পেটেরে পীড়ার রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন পাঁচশ থেকে সাতশ রোগী ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় করছেন।

চলতি এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ২১ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসেন। গত চার দিনে চার হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। অপরদিকে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর নিউমোনিয়া রোগী কমে গেলেও চলতি তাপদাহে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ দেখা যাচ্ছে।

বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২০২৩ সালে ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নেন। ২০২২ সালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি। আর ২০২১ সালে ছিল ৮০ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। গত তিন মাসে চিকিৎসাসেবা নেন ২৫ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। অপর দিকে গত শীতে নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি।

বরিশালের মানুষের মাঝে কেন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়া বেশি হয়Ñ এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বরিশাল মহানগরী ও এ অঞ্চলের বেশির ভাগ পথঘাটজুড়ে ‘পথখাবার’র দোকান গড়ে উঠেছে। আর এগুলো কোনোমতেই স্বাস্থ্যকর নয়। পথের ধারে গড়ে ওঠা এসব দোকানের পচা-বাসি খাবার খেয়েই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। তাহলেই ডায়রিয়া আক্রান্ত থেকে রেহাই মিলবে। কী কী কারণে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, সে বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

দেশে ডায়রিয়া চিকিৎসা এখন সহজলভ্য। এমনকি ঘরে বসেও এর চিকিৎসা নেয়া যায়। খাবার স্যালাইন ঘরেই বানানো যায়। তবে সেটা নিয়মমাফিকভাবে বানাতে হবে। কারো ডায়রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করা হলে সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে। আর যদি কারো অবস্থা সংকটাপন্ন হয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বরিশাল অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপমাত্রা যত বাড়ছে, তত বাড়ছে ডায়রিয়া ও পেটেরে পীড়ার রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন পাঁচশ থেকে সাতশ রোগী ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় করছেন।

চলতি এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ২১ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসেন। গত চার দিনে চার হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। অপরদিকে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর নিউমোনিয়া রোগী কমে গেলেও চলতি তাপদাহে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ দেখা যাচ্ছে।

বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২০২৩ সালে ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নেন। ২০২২ সালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি। আর ২০২১ সালে ছিল ৮০ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। গত তিন মাসে চিকিৎসাসেবা নেন ২৫ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। অপর দিকে গত শীতে নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি।

বরিশালের মানুষের মাঝে কেন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়া বেশি হয়Ñ এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বরিশাল মহানগরী ও এ অঞ্চলের বেশির ভাগ পথঘাটজুড়ে ‘পথখাবার’র দোকান গড়ে উঠেছে। আর এগুলো কোনোমতেই স্বাস্থ্যকর নয়। পথের ধারে গড়ে ওঠা এসব দোকানের পচা-বাসি খাবার খেয়েই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। তাহলেই ডায়রিয়া আক্রান্ত থেকে রেহাই মিলবে। কী কী কারণে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, সে বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

দেশে ডায়রিয়া চিকিৎসা এখন সহজলভ্য। এমনকি ঘরে বসেও এর চিকিৎসা নেয়া যায়। খাবার স্যালাইন ঘরেই বানানো যায়। তবে সেটা নিয়মমাফিকভাবে বানাতে হবে। কারো ডায়রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করা হলে সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে। আর যদি কারো অবস্থা সংকটাপন্ন হয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়।

back to top