alt

opinion » editorial

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। এর মধ্যে পৌরসভার শ্রেণী উন্নত হয়েছে। ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পৌরবাসীদের ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা কতটা বেড়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জাজিরা পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খাল, নালা, পুকুরের মতো জলাশয়গুলো দখল-দূষণে ধুঁকছে। যে কারণে বৃষ্টির মৌসুমে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ খাল ভরাট করে বাজার স্থাপন করেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কোনো এলাকাকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয় সেখানকার বাসিন্দাদের উন্নত নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য। সেখানে সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকবে, সড়ক বাতি থাকবে, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। একটা পৌরসভার বাসিন্দাদের এমন আরও অনেক সুবিধা পাওয়ার কথা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে জাজিরার মতো দেশের অনেক পৌর এলাকাতেই ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যায়নি।

পৌর এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত কর দিচ্ছেন। পৌরসভার দায়িত্বে যারা আছেন তারা বেতন-ভাতা পান। বাস্তবতা হলো নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা সেভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। নামেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। বাস্তবে কিন্তু সেটা হয়নি। পৌর এলাকায় নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধাই নিশ্চিত করা হয় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, দেশের পৌরসভার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। পৌরসভার বাসিন্দারা যাতে শুধু কাগজে-কলমে নগরবাসী হয়ে না থাকেন, তারা যেন প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেটা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

জাজিরা পৌরসভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে শক্তিশালী ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সেখানকার জলাশয়গুলো রক্ষা করতে হবে। সব ধরনের দখলের অবসান ঘটানো জরুরি। জানা গেছে, জাজিরা পৌর এলাকায় সিপিসিআরপি প্রকল্পের আওতায় ড্রেন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানকার খাল, ডোবা ও পুরাতন কালভার্ট সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। আমরা আশা করব, দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানকার বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হোক সেটাই আমাদের চাওয়া।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পৌর এলাকায় ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুন

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। এর মধ্যে পৌরসভার শ্রেণী উন্নত হয়েছে। ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পৌরবাসীদের ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা কতটা বেড়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জাজিরা পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খাল, নালা, পুকুরের মতো জলাশয়গুলো দখল-দূষণে ধুঁকছে। যে কারণে বৃষ্টির মৌসুমে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ খাল ভরাট করে বাজার স্থাপন করেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কোনো এলাকাকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয় সেখানকার বাসিন্দাদের উন্নত নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য। সেখানে সুপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকবে, সড়ক বাতি থাকবে, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। একটা পৌরসভার বাসিন্দাদের এমন আরও অনেক সুবিধা পাওয়ার কথা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে জাজিরার মতো দেশের অনেক পৌর এলাকাতেই ন্যূনতম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যায়নি।

পৌর এলাকার বাসিন্দারা নিয়মিত কর দিচ্ছেন। পৌরসভার দায়িত্বে যারা আছেন তারা বেতন-ভাতা পান। বাস্তবতা হলো নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা সেভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। নামেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। বাস্তবে কিন্তু সেটা হয়নি। পৌর এলাকায় নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধাই নিশ্চিত করা হয় না কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, দেশের পৌরসভার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। পৌরসভার বাসিন্দারা যাতে শুধু কাগজে-কলমে নগরবাসী হয়ে না থাকেন, তারা যেন প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেটা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

জাজিরা পৌরসভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে শক্তিশালী ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সেখানকার জলাশয়গুলো রক্ষা করতে হবে। সব ধরনের দখলের অবসান ঘটানো জরুরি। জানা গেছে, জাজিরা পৌর এলাকায় সিপিসিআরপি প্রকল্পের আওতায় ড্রেন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানকার খাল, ডোবা ও পুরাতন কালভার্ট সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। আমরা আশা করব, দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানকার বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হোক সেটাই আমাদের চাওয়া।

back to top