পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ যেভাবে উঠে এসেছে, তা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে অবৈধ কার্যক্রম থেমে নেই।
সরকারি জমির বেআইনি দখল ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলওয়ের কৃষিজমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে বলেছে, কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের কোনো বিধান নেই।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, এই জমির একটি অংশ রেলের পুকুর হিসেবে ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাছ চাষ হতো। কিন্তু চার বছর আগে পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা করা হলে প্রশাসন সাময়িকভাবে তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে, আবারও পুকুর ভরাট করা হয় এবং এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত থাকায় কি প্রশাসন হাত গুটিয়ে রেখেছে? নাকি অন্য কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে?
এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম চলতে থাকলে রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের প্রবণতা বাড়বে এবং রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বেহাত হবে। একই সঙ্গে, বেআইনি দখল ও নির্মাণের অপসংস্কৃতি আরও বিস্তৃত হবে। শুধু পাবনার এই একটি এলাকায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই রেলওয়ের জমি দখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেলওয়ের জমি বেহাত হওয়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। জনগণের সম্পদ দখল করে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম আরও বাড়বে।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ যেভাবে উঠে এসেছে, তা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে অবৈধ কার্যক্রম থেমে নেই।
সরকারি জমির বেআইনি দখল ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলওয়ের কৃষিজমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে বলেছে, কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের কোনো বিধান নেই।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, এই জমির একটি অংশ রেলের পুকুর হিসেবে ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাছ চাষ হতো। কিন্তু চার বছর আগে পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা করা হলে প্রশাসন সাময়িকভাবে তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে, আবারও পুকুর ভরাট করা হয় এবং এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত থাকায় কি প্রশাসন হাত গুটিয়ে রেখেছে? নাকি অন্য কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে?
এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম চলতে থাকলে রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের প্রবণতা বাড়বে এবং রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বেহাত হবে। একই সঙ্গে, বেআইনি দখল ও নির্মাণের অপসংস্কৃতি আরও বিস্তৃত হবে। শুধু পাবনার এই একটি এলাকায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই রেলওয়ের জমি দখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেলওয়ের জমি বেহাত হওয়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। জনগণের সম্পদ দখল করে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম আরও বাড়বে।