alt

সম্পাদকীয়

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ যেভাবে উঠে এসেছে, তা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে অবৈধ কার্যক্রম থেমে নেই।

সরকারি জমির বেআইনি দখল ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলওয়ের কৃষিজমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে বলেছে, কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের কোনো বিধান নেই।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, এই জমির একটি অংশ রেলের পুকুর হিসেবে ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাছ চাষ হতো। কিন্তু চার বছর আগে পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা করা হলে প্রশাসন সাময়িকভাবে তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে, আবারও পুকুর ভরাট করা হয় এবং এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত থাকায় কি প্রশাসন হাত গুটিয়ে রেখেছে? নাকি অন্য কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে?

এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম চলতে থাকলে রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের প্রবণতা বাড়বে এবং রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বেহাত হবে। একই সঙ্গে, বেআইনি দখল ও নির্মাণের অপসংস্কৃতি আরও বিস্তৃত হবে। শুধু পাবনার এই একটি এলাকায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই রেলওয়ের জমি দখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রেলওয়ের জমি বেহাত হওয়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। জনগণের সম্পদ দখল করে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম আরও বাড়বে।

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

tab

সম্পাদকীয়

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ যেভাবে উঠে এসেছে, তা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে অবৈধ কার্যক্রম থেমে নেই।

সরকারি জমির বেআইনি দখল ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ঘটনা দেশে নতুন কিছু নয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলওয়ের কৃষিজমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে বলেছে, কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের কোনো বিধান নেই।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, এই জমির একটি অংশ রেলের পুকুর হিসেবে ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাছ চাষ হতো। কিন্তু চার বছর আগে পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা করা হলে প্রশাসন সাময়িকভাবে তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে, আবারও পুকুর ভরাট করা হয় এবং এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত থাকায় কি প্রশাসন হাত গুটিয়ে রেখেছে? নাকি অন্য কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে?

এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম চলতে থাকলে রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের প্রবণতা বাড়বে এবং রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বেহাত হবে। একই সঙ্গে, বেআইনি দখল ও নির্মাণের অপসংস্কৃতি আরও বিস্তৃত হবে। শুধু পাবনার এই একটি এলাকায় নয়, দেশের অনেক স্থানেই রেলওয়ের জমি দখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রেলওয়ের জমি বেহাত হওয়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলে এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়। জনগণের সম্পদ দখল করে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রম আরও বাড়বে।

back to top