alt

সম্পাদকীয়

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

: বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আলু চাষিরা এক কঠিন সময় পার করছেন। মৌসুমের শুরুতেই অত্যধিক দামে বীজ ও সারের সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক চাষি আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত। লেট ব্লাইট রোগের কারণে আলুগাছের পাতা কালো হয়ে পচে যাচ্ছে, যা চাষিদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তৈরি করেছে।

শেরপুর উপজেলায় ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। অথচ খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পরেও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা বেড়েছে, যা প্রমাণ করে যে চাষিদের জন্য সংকট কেবল মৌসুমের নয়, দীর্ঘমেয়াদি সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

লেট ব্লাইট রোগের বিস্তার কৃষকদের জন্য মহাবিপদ হয়ে উঠেছে। নানা ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও লাভ হয়নি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরামর্শ দেওয়ার পরেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, কারণ রোগের বিস্তার প্রতিরোধের জন্য খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

আলু বীজের সংকটও একটি বড় সমস্যা। চাষিরা অতিরিক্ত দামে বীজ সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু তারা যে বীজ পেয়েছেন, তা অনেক সময় ভেজাল এবং নিম্নমানের ছিল। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফলনও আশানুরূপ হয়নি। বর্তমানে বীজের সংকট একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার প্রতিকার হিসেবে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও লিফলেট বিতরণ করলেও মাঠপর্যায়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। কৃষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর বীজ, কীটনাশক এবং সার সরবরাহ করা উচিত। কৃষকরা যেসব সমস্যায় পড়েছেন, তা মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং সহায়তা তাদের দরকার।

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

tab

সম্পাদকীয়

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আলু চাষিরা এক কঠিন সময় পার করছেন। মৌসুমের শুরুতেই অত্যধিক দামে বীজ ও সারের সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক চাষি আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত। লেট ব্লাইট রোগের কারণে আলুগাছের পাতা কালো হয়ে পচে যাচ্ছে, যা চাষিদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তৈরি করেছে।

শেরপুর উপজেলায় ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। অথচ খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পরেও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা বেড়েছে, যা প্রমাণ করে যে চাষিদের জন্য সংকট কেবল মৌসুমের নয়, দীর্ঘমেয়াদি সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

লেট ব্লাইট রোগের বিস্তার কৃষকদের জন্য মহাবিপদ হয়ে উঠেছে। নানা ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও লাভ হয়নি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরামর্শ দেওয়ার পরেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, কারণ রোগের বিস্তার প্রতিরোধের জন্য খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

আলু বীজের সংকটও একটি বড় সমস্যা। চাষিরা অতিরিক্ত দামে বীজ সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু তারা যে বীজ পেয়েছেন, তা অনেক সময় ভেজাল এবং নিম্নমানের ছিল। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফলনও আশানুরূপ হয়নি। বর্তমানে বীজের সংকট একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার প্রতিকার হিসেবে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও লিফলেট বিতরণ করলেও মাঠপর্যায়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। কৃষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর বীজ, কীটনাশক এবং সার সরবরাহ করা উচিত। কৃষকরা যেসব সমস্যায় পড়েছেন, তা মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং সহায়তা তাদের দরকার।

back to top