বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আলু চাষিরা এক কঠিন সময় পার করছেন। মৌসুমের শুরুতেই অত্যধিক দামে বীজ ও সারের সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক চাষি আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত। লেট ব্লাইট রোগের কারণে আলুগাছের পাতা কালো হয়ে পচে যাচ্ছে, যা চাষিদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তৈরি করেছে।
শেরপুর উপজেলায় ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। অথচ খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পরেও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা বেড়েছে, যা প্রমাণ করে যে চাষিদের জন্য সংকট কেবল মৌসুমের নয়, দীর্ঘমেয়াদি সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
লেট ব্লাইট রোগের বিস্তার কৃষকদের জন্য মহাবিপদ হয়ে উঠেছে। নানা ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও লাভ হয়নি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরামর্শ দেওয়ার পরেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, কারণ রোগের বিস্তার প্রতিরোধের জন্য খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
আলু বীজের সংকটও একটি বড় সমস্যা। চাষিরা অতিরিক্ত দামে বীজ সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু তারা যে বীজ পেয়েছেন, তা অনেক সময় ভেজাল এবং নিম্নমানের ছিল। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফলনও আশানুরূপ হয়নি। বর্তমানে বীজের সংকট একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার প্রতিকার হিসেবে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও লিফলেট বিতরণ করলেও মাঠপর্যায়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। কৃষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর বীজ, কীটনাশক এবং সার সরবরাহ করা উচিত। কৃষকরা যেসব সমস্যায় পড়েছেন, তা মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং সহায়তা তাদের দরকার।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আলু চাষিরা এক কঠিন সময় পার করছেন। মৌসুমের শুরুতেই অত্যধিক দামে বীজ ও সারের সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক চাষি আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত। লেট ব্লাইট রোগের কারণে আলুগাছের পাতা কালো হয়ে পচে যাচ্ছে, যা চাষিদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তৈরি করেছে।
শেরপুর উপজেলায় ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ হলেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। অথচ খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পরেও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা বেড়েছে, যা প্রমাণ করে যে চাষিদের জন্য সংকট কেবল মৌসুমের নয়, দীর্ঘমেয়াদি সংকট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
লেট ব্লাইট রোগের বিস্তার কৃষকদের জন্য মহাবিপদ হয়ে উঠেছে। নানা ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও লাভ হয়নি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরামর্শ দেওয়ার পরেও সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, কারণ রোগের বিস্তার প্রতিরোধের জন্য খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। ১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
আলু বীজের সংকটও একটি বড় সমস্যা। চাষিরা অতিরিক্ত দামে বীজ সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু তারা যে বীজ পেয়েছেন, তা অনেক সময় ভেজাল এবং নিম্নমানের ছিল। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফলনও আশানুরূপ হয়নি। বর্তমানে বীজের সংকট একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার প্রতিকার হিসেবে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও লিফলেট বিতরণ করলেও মাঠপর্যায়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। কৃষকদের প্রাথমিক পর্যায়ে সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর বীজ, কীটনাশক এবং সার সরবরাহ করা উচিত। কৃষকরা যেসব সমস্যায় পড়েছেন, তা মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং সহায়তা তাদের দরকার।