alt

সম্পাদকীয়

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

: বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর এবং সুপ্রিমকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক। একদিকে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিত হামলা, অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বর্বর আক্রমণ ও রাজনৈতিক কর্মীদের আক্রমণÑএসব ঘটনা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কোনো শুভ বার্তা দেয় না।

শরীয়তপুরে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সেখানে সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে হামলাকারীরা সত্যকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছে। লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সংগ্রহের সময় চার সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা কিসের লক্ষণÑসেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

দেশে পেশাদার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সেই চ্যালেঞ্জ কমেছে নাকি ক্ষেত্র বিশেষে বেড়েছেÑসেই প্রশ্ন উঠেছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। অন্যায়, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সত্য উন্মোচন করা পেশাদার সাংবাদিকের দায়িত্ব। পেশাদার সাংবাদিক যেন নির্বিঘেœ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য ভয়হীন পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের। সংবাদ প্রকাশ বা সংগ্রহ করার জন্য কোনো সংবাদকর্মী বা গণমাধ্যম যদি হামলার শিকার হয় সেটা শুধু সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের জন্য নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও বাকস্বাধীনতার জন্যও ভালো নয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হলো হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু অভিযোগ আছে, অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য হতাশাজনক। চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি।’ আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকের ওপর হামলা আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। পুলিশ প্রশাসন যদি অভিযোগের আশায় বসে না থেকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করত, তাহলে হয়তো অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হতো।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার সব ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মুক্ত গণমাধ্যমের স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। গণমাধ্যম স্বাধীন ও শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হয়।

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর এবং সুপ্রিমকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক। একদিকে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিত হামলা, অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বর্বর আক্রমণ ও রাজনৈতিক কর্মীদের আক্রমণÑএসব ঘটনা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কোনো শুভ বার্তা দেয় না।

শরীয়তপুরে চার সাংবাদিকের ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সেখানে সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে হামলাকারীরা সত্যকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছে। লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সংগ্রহের সময় চার সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা কিসের লক্ষণÑসেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

দেশে পেশাদার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সেই চ্যালেঞ্জ কমেছে নাকি ক্ষেত্র বিশেষে বেড়েছেÑসেই প্রশ্ন উঠেছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। অন্যায়, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সত্য উন্মোচন করা পেশাদার সাংবাদিকের দায়িত্ব। পেশাদার সাংবাদিক যেন নির্বিঘেœ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য ভয়হীন পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের। সংবাদ প্রকাশ বা সংগ্রহ করার জন্য কোনো সংবাদকর্মী বা গণমাধ্যম যদি হামলার শিকার হয় সেটা শুধু সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের জন্য নয়, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও বাকস্বাধীনতার জন্যও ভালো নয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হলো হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু অভিযোগ আছে, অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য হতাশাজনক। চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি।’ আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকের ওপর হামলা আইনশৃঙ্খলার অবনতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। পুলিশ প্রশাসন যদি অভিযোগের আশায় বসে না থেকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করত, তাহলে হয়তো অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হতো।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার সব ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মুক্ত গণমাধ্যমের স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। গণমাধ্যম স্বাধীন ও শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হয়।

back to top