যশোরের কেশবপুরে মাঘের শীত উপেক্ষা করে, গরিব-অসহায় মানুষ প্রতিদিন উন্মুক্ত বাজারে (ওএমএস) সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চাল কিনতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে চালের জন্য প্রতিদিনই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অথচ চালের পরিমাণ একেবারেই সীমিত। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারদের সংখ্যা খুবই কম, অথচ মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত আগস্ট থেকে এক ডিলার নিখোঁজ এবং আরেক ডিলার মারা যাওয়ায়, দুই জন ডিলারের ওপর চাপ পড়ে গেছে। একটি ডিলারের দোকান থেকে প্রতিদিন মাত্র দেড় মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়, যা মোটেও পর্যাপ্ত নয়।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চালের জোগান যথেষ্ট নয় এবং যে সীমিত বরাদ্দ রয়েছে, তা-ও ঠিকভাবে বিতরণ করা যাচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো দুস্থ মানুষের মাঝে চাল সরবরাহ করা, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটা ভিন্ন। বরাদ্দকৃত চালের তুলনায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, যার ফলে চাল পেতে প্রতিদিন অপেক্ষার সময় আরও বাড়ছে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে যাতে কেউ খালি হাতে না ফিরে যায়। তবে, এটি একটি সাময়িক সমাধান, কারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারের সংখ্যা যথেষ্ট নয় এবং এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী সংকটে পরিণত হতে পারে।
চালের বাজারের অবস্থা এবং ওএমএস কার্যক্রমের সমস্যাগুলো সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রথমত, ডিলারদের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি, যাতে প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ সঠিকভাবে করা যায়। দ্বিতীয়ত, চালের বরাদ্দ বাড়ানো এবং সঠিক বিতরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি, যেন কেউ যাতে ক্ষুধার্ত না থাকে। তৃতীয়ত, ওএমএস কার্যক্রমের নিয়মিত মনিটরিং এবং এর প্রয়োগের উপযুক্ত পরিকল্পনা করা উচিত।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
যশোরের কেশবপুরে মাঘের শীত উপেক্ষা করে, গরিব-অসহায় মানুষ প্রতিদিন উন্মুক্ত বাজারে (ওএমএস) সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চাল কিনতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে চালের জন্য প্রতিদিনই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অথচ চালের পরিমাণ একেবারেই সীমিত। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারদের সংখ্যা খুবই কম, অথচ মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত আগস্ট থেকে এক ডিলার নিখোঁজ এবং আরেক ডিলার মারা যাওয়ায়, দুই জন ডিলারের ওপর চাপ পড়ে গেছে। একটি ডিলারের দোকান থেকে প্রতিদিন মাত্র দেড় মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়, যা মোটেও পর্যাপ্ত নয়।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চালের জোগান যথেষ্ট নয় এবং যে সীমিত বরাদ্দ রয়েছে, তা-ও ঠিকভাবে বিতরণ করা যাচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো দুস্থ মানুষের মাঝে চাল সরবরাহ করা, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটা ভিন্ন। বরাদ্দকৃত চালের তুলনায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, যার ফলে চাল পেতে প্রতিদিন অপেক্ষার সময় আরও বাড়ছে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে যাতে কেউ খালি হাতে না ফিরে যায়। তবে, এটি একটি সাময়িক সমাধান, কারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারের সংখ্যা যথেষ্ট নয় এবং এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী সংকটে পরিণত হতে পারে।
চালের বাজারের অবস্থা এবং ওএমএস কার্যক্রমের সমস্যাগুলো সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রথমত, ডিলারদের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি, যাতে প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ সঠিকভাবে করা যায়। দ্বিতীয়ত, চালের বরাদ্দ বাড়ানো এবং সঠিক বিতরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি, যেন কেউ যাতে ক্ষুধার্ত না থাকে। তৃতীয়ত, ওএমএস কার্যক্রমের নিয়মিত মনিটরিং এবং এর প্রয়োগের উপযুক্ত পরিকল্পনা করা উচিত।