alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরের কেশবপুরে মাঘের শীত উপেক্ষা করে, গরিব-অসহায় মানুষ প্রতিদিন উন্মুক্ত বাজারে (ওএমএস) সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চাল কিনতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে চালের জন্য প্রতিদিনই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অথচ চালের পরিমাণ একেবারেই সীমিত। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারদের সংখ্যা খুবই কম, অথচ মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত আগস্ট থেকে এক ডিলার নিখোঁজ এবং আরেক ডিলার মারা যাওয়ায়, দুই জন ডিলারের ওপর চাপ পড়ে গেছে। একটি ডিলারের দোকান থেকে প্রতিদিন মাত্র দেড় মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়, যা মোটেও পর্যাপ্ত নয়।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চালের জোগান যথেষ্ট নয় এবং যে সীমিত বরাদ্দ রয়েছে, তা-ও ঠিকভাবে বিতরণ করা যাচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো দুস্থ মানুষের মাঝে চাল সরবরাহ করা, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটা ভিন্ন। বরাদ্দকৃত চালের তুলনায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, যার ফলে চাল পেতে প্রতিদিন অপেক্ষার সময় আরও বাড়ছে।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে যাতে কেউ খালি হাতে না ফিরে যায়। তবে, এটি একটি সাময়িক সমাধান, কারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারের সংখ্যা যথেষ্ট নয় এবং এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী সংকটে পরিণত হতে পারে।

চালের বাজারের অবস্থা এবং ওএমএস কার্যক্রমের সমস্যাগুলো সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রথমত, ডিলারদের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি, যাতে প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ সঠিকভাবে করা যায়। দ্বিতীয়ত, চালের বরাদ্দ বাড়ানো এবং সঠিক বিতরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি, যেন কেউ যাতে ক্ষুধার্ত না থাকে। তৃতীয়ত, ওএমএস কার্যক্রমের নিয়মিত মনিটরিং এবং এর প্রয়োগের উপযুক্ত পরিকল্পনা করা উচিত।

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরের কেশবপুরে মাঘের শীত উপেক্ষা করে, গরিব-অসহায় মানুষ প্রতিদিন উন্মুক্ত বাজারে (ওএমএস) সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চাল কিনতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে চালের জন্য প্রতিদিনই মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অথচ চালের পরিমাণ একেবারেই সীমিত। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারদের সংখ্যা খুবই কম, অথচ মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত আগস্ট থেকে এক ডিলার নিখোঁজ এবং আরেক ডিলার মারা যাওয়ায়, দুই জন ডিলারের ওপর চাপ পড়ে গেছে। একটি ডিলারের দোকান থেকে প্রতিদিন মাত্র দেড় মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়, যা মোটেও পর্যাপ্ত নয়।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারের ভর্তুকি মূল্যে চালের জোগান যথেষ্ট নয় এবং যে সীমিত বরাদ্দ রয়েছে, তা-ও ঠিকভাবে বিতরণ করা যাচ্ছে না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো দুস্থ মানুষের মাঝে চাল সরবরাহ করা, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটা ভিন্ন। বরাদ্দকৃত চালের তুলনায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, যার ফলে চাল পেতে প্রতিদিন অপেক্ষার সময় আরও বাড়ছে।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে যাতে কেউ খালি হাতে না ফিরে যায়। তবে, এটি একটি সাময়িক সমাধান, কারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ডিলারের সংখ্যা যথেষ্ট নয় এবং এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী সংকটে পরিণত হতে পারে।

চালের বাজারের অবস্থা এবং ওএমএস কার্যক্রমের সমস্যাগুলো সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রথমত, ডিলারদের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি, যাতে প্রয়োজনীয় চাল সরবরাহ সঠিকভাবে করা যায়। দ্বিতীয়ত, চালের বরাদ্দ বাড়ানো এবং সঠিক বিতরণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি, যেন কেউ যাতে ক্ষুধার্ত না থাকে। তৃতীয়ত, ওএমএস কার্যক্রমের নিয়মিত মনিটরিং এবং এর প্রয়োগের উপযুক্ত পরিকল্পনা করা উচিত।

back to top