বর্তমানে ঢাকা এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন, যেখানে বায়ুর মান প্রতিদিনই বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ঢাকার বায়ু গত কয়েক মাসে এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যা শুধু নগরবাসীর জন্যই নয়, পুরো দেশের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বায়ুর মান সূচক দেখাচ্ছে, ঢাকার বায়ুর মান ৫০০-এরও উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ বায়ুদূষণ শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।
ঢাকার বাতাসে প্রাথমিকভাবে পিএম ২.৫ (অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা) অত্যধিক পরিমাণে উপস্থিত। এটি এমন ক্ষুদ্র কণিকা, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানের তুলনায় ঢাকার বাতাসে এই কণিকার পরিমাণ প্রায় ২৪ গুণ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ধরনের দূষণ চলতে থাকে, তবে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত, যেমনটি অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়। রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ, যে শুধু পরিবেশগত উদ্বেগই নয়, এটি সৃষ্ট করছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দুর্যোগও। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে, দ্রুত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত, যা নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে কিছুটা সহায়তা করবে।
ধূলিকণা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণ কার্যক্রম, অযতেœ ছেড়ে দেওয়া বর্জ্য এবং অবৈধ শিল্পকারখানার কার্যক্রমÑসবই ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। তবে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকার এবং সিটি করপোরেশন যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নত হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে যানবাহনের কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ, শিল্পকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের কঠোর আইন, এবং নগর এলাকায় সবুজ অঞ্চল বাড়ানো। বায়ুদূষণ আর কোনোভাবে উপেক্ষা করা যায় না। বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে না পারলে, আগামী দিনে তার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, বায়ুদূষণ থেকে সুরক্ষা পেতে নাগরিকদের কিছু স্বাস্থ্যসম্মত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা, ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করা ইত্যাদি। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং যেসব মানুষ ইতোমধ্যেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাদের জন্য পরামর্শগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বর্তমানে ঢাকা এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন, যেখানে বায়ুর মান প্রতিদিনই বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ঢাকার বায়ু গত কয়েক মাসে এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যা শুধু নগরবাসীর জন্যই নয়, পুরো দেশের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বায়ুর মান সূচক দেখাচ্ছে, ঢাকার বায়ুর মান ৫০০-এরও উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ বায়ুদূষণ শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।
ঢাকার বাতাসে প্রাথমিকভাবে পিএম ২.৫ (অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা) অত্যধিক পরিমাণে উপস্থিত। এটি এমন ক্ষুদ্র কণিকা, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানের তুলনায় ঢাকার বাতাসে এই কণিকার পরিমাণ প্রায় ২৪ গুণ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ধরনের দূষণ চলতে থাকে, তবে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত, যেমনটি অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়। রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ, যে শুধু পরিবেশগত উদ্বেগই নয়, এটি সৃষ্ট করছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দুর্যোগও। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে, দ্রুত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত, যা নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে কিছুটা সহায়তা করবে।
ধূলিকণা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণ কার্যক্রম, অযতেœ ছেড়ে দেওয়া বর্জ্য এবং অবৈধ শিল্পকারখানার কার্যক্রমÑসবই ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। তবে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকার এবং সিটি করপোরেশন যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নত হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে যানবাহনের কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ, শিল্পকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের কঠোর আইন, এবং নগর এলাকায় সবুজ অঞ্চল বাড়ানো। বায়ুদূষণ আর কোনোভাবে উপেক্ষা করা যায় না। বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে না পারলে, আগামী দিনে তার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, বায়ুদূষণ থেকে সুরক্ষা পেতে নাগরিকদের কিছু স্বাস্থ্যসম্মত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা, ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করা ইত্যাদি। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং যেসব মানুষ ইতোমধ্যেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাদের জন্য পরামর্শগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।