alt

সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বর্তমানে ঢাকা এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন, যেখানে বায়ুর মান প্রতিদিনই বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ঢাকার বায়ু গত কয়েক মাসে এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যা শুধু নগরবাসীর জন্যই নয়, পুরো দেশের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বায়ুর মান সূচক দেখাচ্ছে, ঢাকার বায়ুর মান ৫০০-এরও উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ বায়ুদূষণ শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ঢাকার বাতাসে প্রাথমিকভাবে পিএম ২.৫ (অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা) অত্যধিক পরিমাণে উপস্থিত। এটি এমন ক্ষুদ্র কণিকা, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানের তুলনায় ঢাকার বাতাসে এই কণিকার পরিমাণ প্রায় ২৪ গুণ বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ধরনের দূষণ চলতে থাকে, তবে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত, যেমনটি অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়। রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ, যে শুধু পরিবেশগত উদ্বেগই নয়, এটি সৃষ্ট করছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দুর্যোগও। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে, দ্রুত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত, যা নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে কিছুটা সহায়তা করবে।

ধূলিকণা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণ কার্যক্রম, অযতেœ ছেড়ে দেওয়া বর্জ্য এবং অবৈধ শিল্পকারখানার কার্যক্রমÑসবই ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। তবে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকার এবং সিটি করপোরেশন যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নত হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে যানবাহনের কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ, শিল্পকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের কঠোর আইন, এবং নগর এলাকায় সবুজ অঞ্চল বাড়ানো। বায়ুদূষণ আর কোনোভাবে উপেক্ষা করা যায় না। বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে না পারলে, আগামী দিনে তার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, বায়ুদূষণ থেকে সুরক্ষা পেতে নাগরিকদের কিছু স্বাস্থ্যসম্মত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা, ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করা ইত্যাদি। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং যেসব মানুষ ইতোমধ্যেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাদের জন্য পরামর্শগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বর্তমানে ঢাকা এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন, যেখানে বায়ুর মান প্রতিদিনই বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ঢাকার বায়ু গত কয়েক মাসে এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যা শুধু নগরবাসীর জন্যই নয়, পুরো দেশের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বায়ুর মান সূচক দেখাচ্ছে, ঢাকার বায়ুর মান ৫০০-এরও উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ বায়ুদূষণ শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।

ঢাকার বাতাসে প্রাথমিকভাবে পিএম ২.৫ (অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা) অত্যধিক পরিমাণে উপস্থিত। এটি এমন ক্ষুদ্র কণিকা, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানের তুলনায় ঢাকার বাতাসে এই কণিকার পরিমাণ প্রায় ২৪ গুণ বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ধরনের দূষণ চলতে থাকে, তবে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত, যেমনটি অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়। রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ, যে শুধু পরিবেশগত উদ্বেগই নয়, এটি সৃষ্ট করছে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত দুর্যোগও। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে, দ্রুত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত, যা নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে কিছুটা সহায়তা করবে।

ধূলিকণা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণ কার্যক্রম, অযতেœ ছেড়ে দেওয়া বর্জ্য এবং অবৈধ শিল্পকারখানার কার্যক্রমÑসবই ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। তবে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকার এবং সিটি করপোরেশন যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নত হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হতে পারে যানবাহনের কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ, শিল্পকারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের কঠোর আইন, এবং নগর এলাকায় সবুজ অঞ্চল বাড়ানো। বায়ুদূষণ আর কোনোভাবে উপেক্ষা করা যায় না। বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে না পারলে, আগামী দিনে তার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, বায়ুদূষণ থেকে সুরক্ষা পেতে নাগরিকদের কিছু স্বাস্থ্যসম্মত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা, ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করা ইত্যাদি। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং যেসব মানুষ ইতোমধ্যেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাদের জন্য পরামর্শগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

back to top