সাতক্ষীরার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৯৫টি ইটভাটার মধ্যে ৬৫টির নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। অবৈধ ইটভাটাগুলো দিব্যি চলছে।
আইন অনুযায়ী, কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যায় না, তবে অনেক ভাটাই এই নিয়ম ভেঙে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল বা রেলপথের কাছেও ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ, যা সাতক্ষীরার বেশ কিছু অঞ্চলে মানা হচ্ছে না।
এছাড়া, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করাও আইনবিরোধী। কিন্তু, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে প্রশাসনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে রিটের কারণে তারা নির্দিষ্ট ভাটাগুলো বন্ধ করতে পারছেন না। তবে, আদালতের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তারা দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে? যদি পরিবেশ অধিদপ্তর আরও তৎপরতা দেখাত, তবে হয়তো এসব অবৈধ ভাটা বন্ধ করা সম্ভব হতো।
সাতক্ষীরার অবৈধ ইটভাটাগুলোর কারণে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর যে বিপজ্জনক প্রভাব পড়ছে, তা সহজে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এই সমস্যাকে আরও বড় করেছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব ভাটার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হলে, এই সমস্যা শুধু সাতক্ষীরা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সাতক্ষীরার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৯৫টি ইটভাটার মধ্যে ৬৫টির নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। অবৈধ ইটভাটাগুলো দিব্যি চলছে।
আইন অনুযায়ী, কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যায় না, তবে অনেক ভাটাই এই নিয়ম ভেঙে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল বা রেলপথের কাছেও ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ, যা সাতক্ষীরার বেশ কিছু অঞ্চলে মানা হচ্ছে না।
এছাড়া, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করাও আইনবিরোধী। কিন্তু, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে প্রশাসনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে রিটের কারণে তারা নির্দিষ্ট ভাটাগুলো বন্ধ করতে পারছেন না। তবে, আদালতের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তারা দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে? যদি পরিবেশ অধিদপ্তর আরও তৎপরতা দেখাত, তবে হয়তো এসব অবৈধ ভাটা বন্ধ করা সম্ভব হতো।
সাতক্ষীরার অবৈধ ইটভাটাগুলোর কারণে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর যে বিপজ্জনক প্রভাব পড়ছে, তা সহজে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এই সমস্যাকে আরও বড় করেছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব ভাটার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হলে, এই সমস্যা শুধু সাতক্ষীরা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।