শুক্রবার রাতে ধর্মীয় গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখের এই মহিমান্বিত রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন, তাঁদের গুনাহ ক্ষমা করেন এবং ভাগ্য নির্ধারণ করেন। তাই শবে বরাত শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি আত্মশুদ্ধির, আত্মবিশ্লেষণের এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনার এক বিশেষ সুযোগ।
এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ আদায় করেন, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, আল্লাহর রহমত ও করুণা লাভের অন্যতম উপায় হলো তওবা করা এবং নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। শবে বরাত সেই সুযোগ এনে দেয়, যেখানে একান্তভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরই আসে আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আত্মসংযম, ইবাদত-বন্দেগি এবং নৈতিক উন্নতির জন্য এই রাতকে কেন্দ্র করে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।
তবে শবে বরাত পালনের ক্ষেত্রে কিছু সামাজিক ও কুসংস্কারজাত প্রথা অনেক সময় প্রকৃত ইসলামী চেতনাকে আড়াল করে ফেলে। বিশেষ করে, আতশবাজি ফোটানো, অতিরিক্ত জৌলুসপূর্ণ আয়োজন এবং কবরস্থানে অতি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শবে বরাতের মূল তাৎপর্য হারিয়ে যেতে বসে। ইসলাম বিনয়, সরলতা ও আন্তরিকতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই আমাদের উচিত হবে এই মহিমান্বিত রাতকে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা এবং ধর্মীয় বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইবাদত-বন্দেগিতে আত্মনিয়োগ করা।
রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকেও শবে বরাত পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় কোলাহল ও অপসংস্কৃতি এড়িয়ে চলার জন্য জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এই রাতে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত।
শবে বরাতের মূল শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি, ক্ষমা ও কল্যাণ কামনা। এই রাতে মহান আল্লাহর করুণা লাভের আশায় আমাদের একান্তভাবে তাঁর দরবারে নতজানু হওয়া উচিত। পাশাপাশি, এই রাতের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, সহনশীলতা চর্চা করা এবং কল্যাণমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করাই হবে শবে বরাতের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধির অন্যতম উপায়।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শুক্রবার রাতে ধর্মীয় গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখের এই মহিমান্বিত রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন, তাঁদের গুনাহ ক্ষমা করেন এবং ভাগ্য নির্ধারণ করেন। তাই শবে বরাত শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি আত্মশুদ্ধির, আত্মবিশ্লেষণের এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনার এক বিশেষ সুযোগ।
এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ আদায় করেন, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, আল্লাহর রহমত ও করুণা লাভের অন্যতম উপায় হলো তওবা করা এবং নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। শবে বরাত সেই সুযোগ এনে দেয়, যেখানে একান্তভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরই আসে আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আত্মসংযম, ইবাদত-বন্দেগি এবং নৈতিক উন্নতির জন্য এই রাতকে কেন্দ্র করে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে।
তবে শবে বরাত পালনের ক্ষেত্রে কিছু সামাজিক ও কুসংস্কারজাত প্রথা অনেক সময় প্রকৃত ইসলামী চেতনাকে আড়াল করে ফেলে। বিশেষ করে, আতশবাজি ফোটানো, অতিরিক্ত জৌলুসপূর্ণ আয়োজন এবং কবরস্থানে অতি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শবে বরাতের মূল তাৎপর্য হারিয়ে যেতে বসে। ইসলাম বিনয়, সরলতা ও আন্তরিকতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই আমাদের উচিত হবে এই মহিমান্বিত রাতকে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা এবং ধর্মীয় বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইবাদত-বন্দেগিতে আত্মনিয়োগ করা।
রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকেও শবে বরাত পালনের পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় কোলাহল ও অপসংস্কৃতি এড়িয়ে চলার জন্য জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এই রাতে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত।
শবে বরাতের মূল শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি, ক্ষমা ও কল্যাণ কামনা। এই রাতে মহান আল্লাহর করুণা লাভের আশায় আমাদের একান্তভাবে তাঁর দরবারে নতজানু হওয়া উচিত। পাশাপাশি, এই রাতের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবনেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, সহনশীলতা চর্চা করা এবং কল্যাণমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করাই হবে শবে বরাতের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধির অন্যতম উপায়।