বরগুনার আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৮ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই সেতুটি আজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আমতলী ও তালতলী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই এটি নানা অনিয়মের শিকার হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সাব-ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন না করেই বছর বছর ফেলে রেখেছেন। নির্মাণের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে গেলেও কাজ এগোয়নি। বরং, ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে তিন কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন, অথচ জনগণ এখনও সেতুর সুবিধা পাচ্ছে না।
বর্তমানে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে একটি জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজ, যা একপ্রকার ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যোগাযোগের এই ব্যাঘাত স্থানীয় ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করছে।
সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম নতুন কিছু নয়, তবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, জনগণের করের টাকা দিয়ে এমন প্রকল্প শুরু হলেও শেষ হয় না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাও এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। বারবার বলা হলেও কেন এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি, তার জবাবদিহিতা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া, দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা দরকার, যাতে ভবিষ্যতে তারা জনগণের টাকা লুট করতে না পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি পুনরায় সচল করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এর অগ্রগতি তদারক করতে হবে এবং প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বরগুনার আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৮ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই সেতুটি আজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আমতলী ও তালতলী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই এটি নানা অনিয়মের শিকার হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সাব-ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন না করেই বছর বছর ফেলে রেখেছেন। নির্মাণের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে গেলেও কাজ এগোয়নি। বরং, ঠিকাদার প্রভাব খাটিয়ে তিন কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন, অথচ জনগণ এখনও সেতুর সুবিধা পাচ্ছে না।
বর্তমানে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে একটি জরাজীর্ণ বেইলি ব্রিজ, যা একপ্রকার ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যোগাযোগের এই ব্যাঘাত স্থানীয় ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করছে।
সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম নতুন কিছু নয়, তবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, জনগণের করের টাকা দিয়ে এমন প্রকল্প শুরু হলেও শেষ হয় না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাও এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। বারবার বলা হলেও কেন এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি, তার জবাবদিহিতা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া, দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা দরকার, যাতে ভবিষ্যতে তারা জনগণের টাকা লুট করতে না পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি পুনরায় সচল করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এর অগ্রগতি তদারক করতে হবে এবং প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।