যশোরের কেশবপুরের বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ যেন শেষ হওয়ার নয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতার কবলে থাকা এই দুই গ্রাম সারা বছরই পানিবন্দী থাকে। অপরিকল্পিত মাছের ঘের, ব্রিজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ এবং পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সেখানকার মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বসতবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ার কারণে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফলে একসময়ের উর্বর কৃষিজমি আজ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে, আর মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমশ সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে।
২০০০ সালের পর থেকে এলাকার প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিলে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের তৈরি করেন, যার ফলে পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে বিল ভরাট করা হলেও বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বছরের পর বছর ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় জলাবদ্ধতা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। অথচ যথাযথ পরিকল্পনা এবং নিয়মতান্ত্রিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে আজ এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
জলাবদ্ধতার মতো সমস্যা শুধু প্রকৃতির কারণে সৃষ্টি হয়নি, বরং এটি মানুষের অব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের ফল। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, যা হতাশাজনক। এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেয়ার। প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে, জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে, এবং পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করেই শুধু এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদী খননের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে। তবে শুধু নদী খনন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং ব্রিজ-কালভার্টের মুখ খুলে দেয়া এবং অবৈধ বেড়িবাঁধ অপসারণ করাও জরুরি। এছাড়া, মাছের ঘের করতে হলে তা পরিবেশগত ও অবকাঠামোগত পরিকল্পনার ভিত্তিতে করতে হবে, যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
যশোরের কেশবপুরের বাগডাঙ্গা ও মনোহরনগর গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ যেন শেষ হওয়ার নয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতার কবলে থাকা এই দুই গ্রাম সারা বছরই পানিবন্দী থাকে। অপরিকল্পিত মাছের ঘের, ব্রিজ-কালভার্টের মুখ বন্ধ এবং পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সেখানকার মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বসতবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ার কারণে অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফলে একসময়ের উর্বর কৃষিজমি আজ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে, আর মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমশ সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে।
২০০০ সালের পর থেকে এলাকার প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিলে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের তৈরি করেন, যার ফলে পানি নিষ্কাশনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ হয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে বিল ভরাট করা হলেও বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বছরের পর বছর ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় জলাবদ্ধতা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। অথচ যথাযথ পরিকল্পনা এবং নিয়মতান্ত্রিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে আজ এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
জলাবদ্ধতার মতো সমস্যা শুধু প্রকৃতির কারণে সৃষ্টি হয়নি, বরং এটি মানুষের অব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের ফল। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, যা হতাশাজনক। এখনই সময় দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেয়ার। প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে, জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে, এবং পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করেই শুধু এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদী খননের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে। তবে শুধু নদী খনন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং ব্রিজ-কালভার্টের মুখ খুলে দেয়া এবং অবৈধ বেড়িবাঁধ অপসারণ করাও জরুরি। এছাড়া, মাছের ঘের করতে হলে তা পরিবেশগত ও অবকাঠামোগত পরিকল্পনার ভিত্তিতে করতে হবে, যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়।