alt

সম্পাদকীয়

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্থানীয় অসাধু চক্রের কারণে চরম হুমকির মুখে পড়েছে। কিছু মাটি ব্যবসায়ী বাঁধের কোলঘেঁষে মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও পাউবো কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৮৩ সালে কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ চার দশক ধরে এটি এলাকাবাসীর কৃষিজীবনকে সুরক্ষা দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের লোভের শিকার হয়ে আজ সেই বাঁধ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বাঁধের পাশে থাকা ১৩টিরও বেশি খাল দখল হয়ে গিয়েছে, যা একসময় দরিদ্র মানুষের মাছ চাষের জন্য ব্যবহার হতো। এখন সেসব খাল চলে গেছে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে, যারা নির্বিচারে মাটি কাটার মাধ্যমে বাঁধকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করার এই অনৈতিক ও বেআইনি কার্যক্রম শুধু কৃষিজীবীদের ক্ষতি করবে না, বরং বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কাও তৈরি করবে। অতিবৃষ্টি বা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। তাই এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং অবৈধ মাটি কাটার কাজ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

একটি টেকসই কৃষিনির্ভর দেশের জন্য আমাদের পরিবেশ ও অবকাঠামো রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা যেন সংকটে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এর চরম মাশুল দিতে হতে পারে আমাদের সবাইকে।

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

tab

সম্পাদকীয়

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্থানীয় অসাধু চক্রের কারণে চরম হুমকির মুখে পড়েছে। কিছু মাটি ব্যবসায়ী বাঁধের কোলঘেঁষে মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও পাউবো কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

১৯৮৩ সালে কৃষকদের ফসল রক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ চার দশক ধরে এটি এলাকাবাসীর কৃষিজীবনকে সুরক্ষা দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের লোভের শিকার হয়ে আজ সেই বাঁধ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বাঁধের পাশে থাকা ১৩টিরও বেশি খাল দখল হয়ে গিয়েছে, যা একসময় দরিদ্র মানুষের মাছ চাষের জন্য ব্যবহার হতো। এখন সেসব খাল চলে গেছে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে, যারা নির্বিচারে মাটি কাটার মাধ্যমে বাঁধকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করার এই অনৈতিক ও বেআইনি কার্যক্রম শুধু কৃষিজীবীদের ক্ষতি করবে না, বরং বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কাও তৈরি করবে। অতিবৃষ্টি বা নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। তাই এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং অবৈধ মাটি কাটার কাজ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

একটি টেকসই কৃষিনির্ভর দেশের জন্য আমাদের পরিবেশ ও অবকাঠামো রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা যেন সংকটে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এর চরম মাশুল দিতে হতে পারে আমাদের সবাইকে।

back to top