alt

opinion » editorial

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতির ওপর প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে হামলার ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও নাগরিক নিরাপত্তার অনিশ্চয়তাকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

গত সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে একটি মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে এসে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানান রিকশাচালক ও এক দম্পতি। কিন্তু প্রতিবাদ জানানোর কারণেই তারা ভয়ংকর হামলার শিকার হন। মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনা সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অপরাধপ্রবণতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রকাশ করে। জনসম্মুখে এমন নৃশংস হামলা ঘটে যাচ্ছে, অথচ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর কয়েকটি গুরুতর প্রশ্ন দেখা দেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নাগরিকরা প্রতিবাদ জানালে কেন তাদের জীবন বিপন্ন হয়?

দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। আশার কথা, উত্তরার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত অভিযানে নেমে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যা প্রশংসনীয়। তবে অপরাধীদের শুধু গ্রেপ্তার করাই যথেষ্ট নয়, দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত না করা গেলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অপরাধের শিকার হতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধও অপরিহার্য। নাগরিকদের সচেতন হতে হবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি রুখতে হলে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। অন্যথায়, নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার এই অনুভূতি আরও গভীর হবে এবং সমাজে অরাজকতা আরও বিস্তৃত হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতির ওপর প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে হামলার ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও নাগরিক নিরাপত্তার অনিশ্চয়তাকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

গত সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে একটি মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে এসে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানান রিকশাচালক ও এক দম্পতি। কিন্তু প্রতিবাদ জানানোর কারণেই তারা ভয়ংকর হামলার শিকার হন। মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনা সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অপরাধপ্রবণতার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রকাশ করে। জনসম্মুখে এমন নৃশংস হামলা ঘটে যাচ্ছে, অথচ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর কয়েকটি গুরুতর প্রশ্ন দেখা দেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নাগরিকরা প্রতিবাদ জানালে কেন তাদের জীবন বিপন্ন হয়?

দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। আশার কথা, উত্তরার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত অভিযানে নেমে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যা প্রশংসনীয়। তবে অপরাধীদের শুধু গ্রেপ্তার করাই যথেষ্ট নয়, দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত না করা গেলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অপরাধের শিকার হতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধও অপরিহার্য। নাগরিকদের সচেতন হতে হবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি রুখতে হলে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। অন্যথায়, নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার এই অনুভূতি আরও গভীর হবে এবং সমাজে অরাজকতা আরও বিস্তৃত হবে।

back to top