alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিপুল পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় চাষিদের বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত সবজির প্রায় ২৫ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা শুধু চাষিদের নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের কৃষি খাতের জন্য একটি বড় সমস্যা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রূপগঞ্জে ৪৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি; কিন্তু মৌসুমের শুরুতে কিছুদিন ভালো দাম পেলেও পরে যখন উৎপাদন বাড়ে, তখন দাম পড়ে যায়। তখন চাষিরা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন, কারণ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে কৃষকের পরিশ্রমের প্রকৃত মূল্য তারা পান না।

সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় প্রায় চার কোটি টাকার সবজি নষ্ট হয় বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হিমাগার থাকলে কৃষকরা কম দামে বিক্রির পরিবর্তে সুবিধামতো সময়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পারতেন। এটি তাদের লাভজনক অবস্থানে আনতে পারত এবং বাজারেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখত।

বহু বছর ধরেই রূপগঞ্জের কৃষকরা সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে একটি হিমাগার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনও সে দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ।

সরকারি উদ্যোগে দ্রুত একটি হিমাগার স্থাপনের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। হিমাগার স্থাপিত হলে কৃষকদের আয় বাড়বে, কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এবং দেশীয় বাজারেও সবজির সরবরাহ নিয়মিত থাকবে।

কৃষকদের কষ্টার্জিত ফল যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য দ্রুত একটি কার্যকর হিমাগার স্থাপন করা জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদেরও উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। হিমাগার স্থাপন করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবেন, কৃষি খাত উন্নত হবে এবং খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও আরও কার্যকর হবে।

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিপুল পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় চাষিদের বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত সবজির প্রায় ২৫ শতাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা শুধু চাষিদের নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের কৃষি খাতের জন্য একটি বড় সমস্যা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রূপগঞ্জে ৪৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি; কিন্তু মৌসুমের শুরুতে কিছুদিন ভালো দাম পেলেও পরে যখন উৎপাদন বাড়ে, তখন দাম পড়ে যায়। তখন চাষিরা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন, কারণ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে কৃষকের পরিশ্রমের প্রকৃত মূল্য তারা পান না।

সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় প্রায় চার কোটি টাকার সবজি নষ্ট হয় বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হিমাগার থাকলে কৃষকরা কম দামে বিক্রির পরিবর্তে সুবিধামতো সময়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পারতেন। এটি তাদের লাভজনক অবস্থানে আনতে পারত এবং বাজারেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখত।

বহু বছর ধরেই রূপগঞ্জের কৃষকরা সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে একটি হিমাগার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনও সে দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ।

সরকারি উদ্যোগে দ্রুত একটি হিমাগার স্থাপনের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। হিমাগার স্থাপিত হলে কৃষকদের আয় বাড়বে, কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এবং দেশীয় বাজারেও সবজির সরবরাহ নিয়মিত থাকবে।

কৃষকদের কষ্টার্জিত ফল যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য দ্রুত একটি কার্যকর হিমাগার স্থাপন করা জরুরি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদেরও উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। হিমাগার স্থাপন করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবেন, কৃষি খাত উন্নত হবে এবং খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও আরও কার্যকর হবে।

back to top