রমজান মাস মানুষের জন্য শুধু আধ্যাত্মিক সাধনার সময়ই নয়, সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির একটি মাস। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সাম্প্রতিক সময়ে রমজানের ‘পবিত্রতা রক্ষার’ নামে যে ধরনের ‘মোরাল পুলিশিং’ প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তা শুধু সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করছে না, বরং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলা খাবারের দোকান খোলা রাখা বা খাবার খাওয়ার জন্য মানুষের ওপর হামলা, নিগ্রহ এবং হুমকি-ধমকির ঘটনা আমাদের সামনে এনেছে গুরুতর কিছু প্রশ্ন, এই ‘মোরাল পুলিশিং’ করছেন কারা? তাদের এই অধিকার কে দিয়েছে? এবং প্রশাসন কেন এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না?
এই ঘটনাগুলোর সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হলো, এর ফলে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তারা হলেন সমাজের সবচেয়ে দুর্বল গোষ্ঠীÑনারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি, দিনমজুর এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা।
ইসলামী গবেষক ও প-িতরাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ইসলাম এ ধরনের জোরপূর্বক ‘মোরাল পুলিশিং’ সমর্থন করে না। তাদের মতে, কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে কেউ কেউ এসব কর্মকা-ে জড়াচ্ছে।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। লক্ষ্মীপুর বা নোয়াখালীর ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতা খুবই সীমিত। অভিযোগ না পাওয়ার অজুহাতে ব্যবস্থা না নেয়া বা শুধু ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে করে মানুষের মধ্যে আইনের প্রতি আস্থা কমে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ে। প্রশাসনের উচিত এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সমাজে বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। তাই সবার অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। রাষ্ট্রের উচিত এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া এবং সমাজে সহাবস্থানের সংস্কৃতি আরও জোরদার করা।
‘মোরাল পুলিশিং’য়ের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, আমরা একটি অসহিষ্ণু ও বিভক্ত সমাজের দিকে এগিয়ে যাব, যা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও অগ্রগতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
রমজান মাস মানুষের জন্য শুধু আধ্যাত্মিক সাধনার সময়ই নয়, সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির একটি মাস। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সাম্প্রতিক সময়ে রমজানের ‘পবিত্রতা রক্ষার’ নামে যে ধরনের ‘মোরাল পুলিশিং’ প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, তা শুধু সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করছে না, বরং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেলা খাবারের দোকান খোলা রাখা বা খাবার খাওয়ার জন্য মানুষের ওপর হামলা, নিগ্রহ এবং হুমকি-ধমকির ঘটনা আমাদের সামনে এনেছে গুরুতর কিছু প্রশ্ন, এই ‘মোরাল পুলিশিং’ করছেন কারা? তাদের এই অধিকার কে দিয়েছে? এবং প্রশাসন কেন এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না?
এই ঘটনাগুলোর সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হলো, এর ফলে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তারা হলেন সমাজের সবচেয়ে দুর্বল গোষ্ঠীÑনারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি, দিনমজুর এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা।
ইসলামী গবেষক ও প-িতরাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ইসলাম এ ধরনের জোরপূর্বক ‘মোরাল পুলিশিং’ সমর্থন করে না। তাদের মতে, কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে কেউ কেউ এসব কর্মকা-ে জড়াচ্ছে।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। লক্ষ্মীপুর বা নোয়াখালীর ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতা খুবই সীমিত। অভিযোগ না পাওয়ার অজুহাতে ব্যবস্থা না নেয়া বা শুধু ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে করে মানুষের মধ্যে আইনের প্রতি আস্থা কমে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ে। প্রশাসনের উচিত এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সমাজে বহু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। তাই সবার অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। রাষ্ট্রের উচিত এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া এবং সমাজে সহাবস্থানের সংস্কৃতি আরও জোরদার করা।
‘মোরাল পুলিশিং’য়ের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, আমরা একটি অসহিষ্ণু ও বিভক্ত সমাজের দিকে এগিয়ে যাব, যা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও অগ্রগতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।