দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি। অথচ এই খাতকে প্রতিনিয়ত নানা প্রতারণা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহের মহেশপুরের পুরন্দনপুর গ্রামে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে। এটি শুধু একটি উপজেলার ঘটনা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের জন্য এক মন্দ সংকেত।
ভেজাল কীটনাশকের কারণে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন, কিন্তু তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা খুব একটা দৃশ্যমান নয়। প্রশ্ন হলো, এসব অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন এতদিন কী করেছে?
কৃষকদের জীবন-জীবিকা ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এ সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সরকারের উচিত অবিলম্বে সার ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় করা। ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভেজাল কীটনাশক রোধে আইন থাকলেও এর কার্যকর প্রয়োগের অভাবই কৃষকদের ক্ষতির মূল কারণ। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং, নকল কীটনাশক উৎপাদন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
কৃষকরা প্রতারিত হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কৃষকদের ক্ষতি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ অন্যায়ের বোঝা শুধু কৃষকরাই নয়, সমগ্র দেশকেই বহন করতে হবে।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি। অথচ এই খাতকে প্রতিনিয়ত নানা প্রতারণা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহের মহেশপুরের পুরন্দনপুর গ্রামে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে। এটি শুধু একটি উপজেলার ঘটনা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের জন্য এক মন্দ সংকেত।
ভেজাল কীটনাশকের কারণে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন, কিন্তু তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা খুব একটা দৃশ্যমান নয়। প্রশ্ন হলো, এসব অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন এতদিন কী করেছে?
কৃষকদের জীবন-জীবিকা ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এ সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সরকারের উচিত অবিলম্বে সার ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় করা। ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভেজাল কীটনাশক রোধে আইন থাকলেও এর কার্যকর প্রয়োগের অভাবই কৃষকদের ক্ষতির মূল কারণ। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং, নকল কীটনাশক উৎপাদন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
কৃষকরা প্রতারিত হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কৃষকদের ক্ষতি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ অন্যায়ের বোঝা শুধু কৃষকরাই নয়, সমগ্র দেশকেই বহন করতে হবে।