alt

সম্পাদকীয়

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি। অথচ এই খাতকে প্রতিনিয়ত নানা প্রতারণা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহের মহেশপুরের পুরন্দনপুর গ্রামে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে। এটি শুধু একটি উপজেলার ঘটনা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের জন্য এক মন্দ সংকেত।

ভেজাল কীটনাশকের কারণে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন, কিন্তু তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা খুব একটা দৃশ্যমান নয়। প্রশ্ন হলো, এসব অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন এতদিন কী করেছে?

কৃষকদের জীবন-জীবিকা ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এ সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সরকারের উচিত অবিলম্বে সার ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় করা। ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভেজাল কীটনাশক রোধে আইন থাকলেও এর কার্যকর প্রয়োগের অভাবই কৃষকদের ক্ষতির মূল কারণ। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং, নকল কীটনাশক উৎপাদন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

কৃষকরা প্রতারিত হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কৃষকদের ক্ষতি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ অন্যায়ের বোঝা শুধু কৃষকরাই নয়, সমগ্র দেশকেই বহন করতে হবে।

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

tab

সম্পাদকীয়

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি কৃষি। অথচ এই খাতকে প্রতিনিয়ত নানা প্রতারণা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি ঝিনাইদহের মহেশপুরের পুরন্দনপুর গ্রামে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে। এটি শুধু একটি উপজেলার ঘটনা নয়, বরং দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের জন্য এক মন্দ সংকেত।

ভেজাল কীটনাশকের কারণে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। কৃষকেরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন, কিন্তু তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা খুব একটা দৃশ্যমান নয়। প্রশ্ন হলো, এসব অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন এতদিন কী করেছে?

কৃষকদের জীবন-জীবিকা ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এ সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সরকারের উচিত অবিলম্বে সার ও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় করা। ভেজাল কীটনাশক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ভেজাল কীটনাশক রোধে আইন থাকলেও এর কার্যকর প্রয়োগের অভাবই কৃষকদের ক্ষতির মূল কারণ। তাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং, নকল কীটনাশক উৎপাদন ও বিক্রয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

কৃষকরা প্রতারিত হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কৃষকদের ক্ষতি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ অন্যায়ের বোঝা শুধু কৃষকরাই নয়, সমগ্র দেশকেই বহন করতে হবে।

back to top