alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

: শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাটকা রক্ষার জন্য প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের অভিযান চলছে ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যেই জাটকা নিধন অব্যাহত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে জাটকা শিকার ও বিক্রি চলছে উপজেলার হাটবাজার থেকে গ্রামে গ্রামে, এমনকি ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় বাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে এসব মাছ। এই অবস্থা ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সরকারি লক্ষ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জাটকা রক্ষার নামে যে প্রচেষ্টা, তা কি তবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা?

মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে চিহ্নিত। এ সময়ে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সরকার ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে; কিন্তু জেলেদের অভিযোগ, এ সহায়তা তারা পাচ্ছেন না। ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রকৃত জেলেদের বদলে অন্যরা সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে বিকল্প আয়ের পথ না পেয়ে অনেক জেলে বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে নদীতে নামছেন।

অভিযানের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জেলেরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবারের অভিযানে তিন মণ জাটকা, ৮০ হাজার মিটার জাল জব্দ ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও, এটি সমস্যার মূল সমাধান নয়। রাতের আঁধারে অনেকেই জাটকা শিকার করছেন, আর দিনের আলোয় তা বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। এটা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নজরদারির ঘাটতির প্রমাণ।

জাটকা নিধনের পেছনে শুধু জেলেদের দায়ী করা যায় না। সচেতনতার অভাবে ক্রেতারাও এই মাছ কিনছেন, যা চাহিদা বাড়িয়ে অসাধু জেলেদের উৎসাহিত করছে। জনসচেতনতা বাড়াতে জেলে ও ক্রেতা উভয়ের মধ্যে প্রচারণা জোরদার করতে হবে।

ইলিশ দেশের জাতীয় সম্পদ। জাটকা রক্ষা না করলে ইলিশ উৎপাদন কমে যাবে, যা কেবল জেলেদের জীবিকাই নয়, দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলবে। সরকারের উচিত এই বিষয়টিকে শুধু আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা। জাটকা নিধন বন্ধে কঠোরতার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা এবং সঠিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায়, ইলিশ রক্ষার সব প্রতিশ্রুতি কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাটকা রক্ষার জন্য প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের অভিযান চলছে ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যেই জাটকা নিধন অব্যাহত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে জাটকা শিকার ও বিক্রি চলছে উপজেলার হাটবাজার থেকে গ্রামে গ্রামে, এমনকি ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় বাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে এসব মাছ। এই অবস্থা ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সরকারি লক্ষ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। জাটকা রক্ষার নামে যে প্রচেষ্টা, তা কি তবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা?

মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে চিহ্নিত। এ সময়ে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সরকার ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে; কিন্তু জেলেদের অভিযোগ, এ সহায়তা তারা পাচ্ছেন না। ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রকৃত জেলেদের বদলে অন্যরা সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে বিকল্প আয়ের পথ না পেয়ে অনেক জেলে বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে নদীতে নামছেন।

অভিযানের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযানের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জেলেরা সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবারের অভিযানে তিন মণ জাটকা, ৮০ হাজার মিটার জাল জব্দ ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও, এটি সমস্যার মূল সমাধান নয়। রাতের আঁধারে অনেকেই জাটকা শিকার করছেন, আর দিনের আলোয় তা বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। এটা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নজরদারির ঘাটতির প্রমাণ।

জাটকা নিধনের পেছনে শুধু জেলেদের দায়ী করা যায় না। সচেতনতার অভাবে ক্রেতারাও এই মাছ কিনছেন, যা চাহিদা বাড়িয়ে অসাধু জেলেদের উৎসাহিত করছে। জনসচেতনতা বাড়াতে জেলে ও ক্রেতা উভয়ের মধ্যে প্রচারণা জোরদার করতে হবে।

ইলিশ দেশের জাতীয় সম্পদ। জাটকা রক্ষা না করলে ইলিশ উৎপাদন কমে যাবে, যা কেবল জেলেদের জীবিকাই নয়, দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলবে। সরকারের উচিত এই বিষয়টিকে শুধু আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা। জাটকা নিধন বন্ধে কঠোরতার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা এবং সঠিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায়, ইলিশ রক্ষার সব প্রতিশ্রুতি কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।

back to top