মায়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প শুধু একটি দেশের ট্র্যাজেডি নয়, এটি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য একটি বড় ধরনের সতর্কবার্তা। এ ভূমিকম্পে মায়ানমারে ১৪৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। থাইল্যান্ডেও অনেক হতাহত হয়েছেন। বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কম্পনের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে। এই ঘটনা আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেÑপ্রকৃতির কাছে আমরা কতটা অসহায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে আমরা কি কোনো শিক্ষা নেব।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোন এবং ডাউকি ফল্টে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে। মায়ানমারের ভূমিকম্পটি যদিও সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানেনি, কিন্তু এটি ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন। কারণ, টেকটোনিক প্লেটের গতিশীলতা নতুন করে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রস্তুতি নিতান্তই অপ্রতুল। রাজধানী ঢাকায় অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, ভবন কোডের তোয়াক্কা না করা, নদীভাঙন ও জনবহুল এলাকায় জরুরি সেবার অভাবÑএসবই ভূমিকম্পে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। থাইল্যান্ডে বহুতল ভবন ধসে অনেক মানুষ আটকা পড়ার ঘটনা আমাদের জন্য একটি গুরুতর সতর্কতা। আমাদের বহুতল ভবন, শপিংমল ও কারখানাগুলো কি ভূমিকম্পন সহনীয়? প্রশ্নটি এখনই ভাবতে হবে।
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়, কিন্তু এর ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। এ জন্য ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করার বিকল্প নেই। ভবন কোড কঠোরভাবে প্রয়োগ ও পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে।
ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম ও উদ্ধারকারী দলকে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। স্কুল-কলেজে ভূমিকম্প ড্রিল ও সচেতনতামূলক কর্মশালা বাধ্যতামূলক করা দরকার। পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
ভূমিকম্পে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। ভূমিকম্প কোনো স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় সমস্যা নয়Ñএটি একটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। তাই সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপ্রতিরোধ্য, তবে প্রস্তুতি ও সচেতনতাই পারে লাখো প্রাণ বাঁচাতে।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
মায়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প শুধু একটি দেশের ট্র্যাজেডি নয়, এটি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য একটি বড় ধরনের সতর্কবার্তা। এ ভূমিকম্পে মায়ানমারে ১৪৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। থাইল্যান্ডেও অনেক হতাহত হয়েছেন। বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কম্পনের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে। এই ঘটনা আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেÑপ্রকৃতির কাছে আমরা কতটা অসহায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে আমরা কি কোনো শিক্ষা নেব।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোন এবং ডাউকি ফল্টে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তি জমা হচ্ছে। মায়ানমারের ভূমিকম্পটি যদিও সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানেনি, কিন্তু এটি ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন। কারণ, টেকটোনিক প্লেটের গতিশীলতা নতুন করে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রস্তুতি নিতান্তই অপ্রতুল। রাজধানী ঢাকায় অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, ভবন কোডের তোয়াক্কা না করা, নদীভাঙন ও জনবহুল এলাকায় জরুরি সেবার অভাবÑএসবই ভূমিকম্পে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। থাইল্যান্ডে বহুতল ভবন ধসে অনেক মানুষ আটকা পড়ার ঘটনা আমাদের জন্য একটি গুরুতর সতর্কতা। আমাদের বহুতল ভবন, শপিংমল ও কারখানাগুলো কি ভূমিকম্পন সহনীয়? প্রশ্নটি এখনই ভাবতে হবে।
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়, কিন্তু এর ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। এ জন্য ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করার বিকল্প নেই। ভবন কোড কঠোরভাবে প্রয়োগ ও পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে।
ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে জরুরি সাড়াদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম ও উদ্ধারকারী দলকে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। স্কুল-কলেজে ভূমিকম্প ড্রিল ও সচেতনতামূলক কর্মশালা বাধ্যতামূলক করা দরকার। পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
ভূমিকম্পে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের ক্ষয়ক্ষতি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। ভূমিকম্প কোনো স্থানীয় বা রাষ্ট্রীয় সমস্যা নয়Ñএটি একটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। তাই সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপ্রতিরোধ্য, তবে প্রস্তুতি ও সচেতনতাই পারে লাখো প্রাণ বাঁচাতে।