alt

সম্পাদকীয়

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

দেড় মাসের বিরতির পর দেশে আবারও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি হাসপাতালে মধ্যবয়সী এক নারী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই ১০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এই পরিসংখ্যান শুধু উদ্বেগজনকই নয়, বর্ষা মৌসুমের আগে এইডিস মশার বিস্তার রোধে আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতিরও ইঙ্গিত দেয়। শুষ্ক মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও পূর্ণবয়স্ক মশার উপস্থিতি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি করেছে। মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ফেলে রাখা পানির পাত্র, কলসি, ড্রাম ও বালতিতে লার্ভার উৎস চিহ্নিত হয়েছেÑ যার বেশির ভাগই বাসিন্দাদের অসচেতনতার ফল। ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ এই এলাকায় মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বৃষ্টি শুরু হলে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের পর এবার ডেঙ্গুর পাশাপাশি এই রোগের পুনরাবির্ভাবও সম্ভাবনার বাইরে নয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় মশার ফাঁদ বসানো, নিয়মিত জরিপ ও ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চললেও, মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া এর পূর্ণ সাফল্য অধরা।

কিউলেক্স মশার উপদ্রবও নগরবাসীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ডোবা-নালা পরিষ্কারের অভাব ও পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর ঘাটতি এই সমস্যাকে আরও জটিল করছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেবল সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। পানির পাত্র পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া, মশারি ব্যবহারÑ এই সাধারণ পদক্ষেপগুলোই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সিটি করপোরেশনগুলোর উচিত নিয়মিত জরিপ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা।

বর্ষা আসার আগে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারলে আমাদের আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। সময় এখনো আছে, কিন্তু তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সরকার, নগর কর্তৃপক্ষ ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে ডেঙ্গুর এই চোখ রাঙানি থেকে আমাদের রক্ষা করতে।

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

tab

সম্পাদকীয়

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

দেড় মাসের বিরতির পর দেশে আবারও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার একটি হাসপাতালে মধ্যবয়সী এক নারী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই ১০ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এই পরিসংখ্যান শুধু উদ্বেগজনকই নয়, বর্ষা মৌসুমের আগে এইডিস মশার বিস্তার রোধে আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতিরও ইঙ্গিত দেয়। শুষ্ক মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার লার্ভা ও পূর্ণবয়স্ক মশার উপস্থিতি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি করেছে। মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ফেলে রাখা পানির পাত্র, কলসি, ড্রাম ও বালতিতে লার্ভার উৎস চিহ্নিত হয়েছেÑ যার বেশির ভাগই বাসিন্দাদের অসচেতনতার ফল। ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ এই এলাকায় মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বৃষ্টি শুরু হলে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের পর এবার ডেঙ্গুর পাশাপাশি এই রোগের পুনরাবির্ভাবও সম্ভাবনার বাইরে নয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় মশার ফাঁদ বসানো, নিয়মিত জরিপ ও ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চললেও, মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া এর পূর্ণ সাফল্য অধরা।

কিউলেক্স মশার উপদ্রবও নগরবাসীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। ডোবা-নালা পরিষ্কারের অভাব ও পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর ঘাটতি এই সমস্যাকে আরও জটিল করছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেবল সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। পানির পাত্র পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া, মশারি ব্যবহারÑ এই সাধারণ পদক্ষেপগুলোই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সিটি করপোরেশনগুলোর উচিত নিয়মিত জরিপ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা।

বর্ষা আসার আগে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারলে আমাদের আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। সময় এখনো আছে, কিন্তু তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সরকার, নগর কর্তৃপক্ষ ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে ডেঙ্গুর এই চোখ রাঙানি থেকে আমাদের রক্ষা করতে।

back to top