alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

: শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

হালদা নদী দেশের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের এক অনন্য সম্পদ। কিন্তু এই নদী এখন অবৈধ মৎস্য শিকারের কবলে পড়ে সংকটের মুখে। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও হালদায় অবৈধ জাল বসানো এবং মা মাছ শিকার থামছে না। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাউজান মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন শিকারীকে আটক করা হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে ৮ হাজার মিটার কারেন্ট ও ঘেরজাল।

হালদা নদী শুধু একটি জলাশয় নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। প্রতি বছর চৈত্র মাস থেকে মা মাছ এই নদীতে ডিম ছাড়তে আসে, যা থেকে উৎপন্ন রেণু পোনা দেশের মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অবৈধ শিকারের কারণে এই প্রাকৃতিক চক্র বিঘিœত হচ্ছে। অভিযানে জব্দ করা জালের পরিমাণ ও মূল্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকাÑইঙ্গিত দেয় যে, এটি কোনো ছোটখাটো অপরাধ নয়, বরং সংগঠিতভাবে চলমান একটি লাভজনক ব্যবসায়। শাস্তি হিসেবে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এই অপরাধের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

এই সময়ে মা মাছের আগমন শুরু হয়েছে, যা হালদার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। ডিম আহরণকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, হ্যাচারিগুলোর সংস্কার চলছে। কিন্তু অবৈধ শিকার এই প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপরও আঘাত। হালদার জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা, নৌ পুলিশের টহল ও বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রশংসনীয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়।

আমরা বলতে চাই, হালদায় অবৈধ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে তাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সম্পৃক্ত করতে হবে। হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্য অর্থনীতি ও পরিবেশের একটি অমূল্য সম্পদ। এটিকে বাঁচাতে সুসংগঠিত, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ এবং বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে হালদাকে তার প্রাকৃতিক গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

হালদা নদী দেশের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের এক অনন্য সম্পদ। কিন্তু এই নদী এখন অবৈধ মৎস্য শিকারের কবলে পড়ে সংকটের মুখে। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও হালদায় অবৈধ জাল বসানো এবং মা মাছ শিকার থামছে না। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাউজান মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন শিকারীকে আটক করা হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে ৮ হাজার মিটার কারেন্ট ও ঘেরজাল।

হালদা নদী শুধু একটি জলাশয় নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। প্রতি বছর চৈত্র মাস থেকে মা মাছ এই নদীতে ডিম ছাড়তে আসে, যা থেকে উৎপন্ন রেণু পোনা দেশের মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অবৈধ শিকারের কারণে এই প্রাকৃতিক চক্র বিঘিœত হচ্ছে। অভিযানে জব্দ করা জালের পরিমাণ ও মূল্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকাÑইঙ্গিত দেয় যে, এটি কোনো ছোটখাটো অপরাধ নয়, বরং সংগঠিতভাবে চলমান একটি লাভজনক ব্যবসায়। শাস্তি হিসেবে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এই অপরাধের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

এই সময়ে মা মাছের আগমন শুরু হয়েছে, যা হালদার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। ডিম আহরণকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, হ্যাচারিগুলোর সংস্কার চলছে। কিন্তু অবৈধ শিকার এই প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপরও আঘাত। হালদার জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা, নৌ পুলিশের টহল ও বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রশংসনীয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়।

আমরা বলতে চাই, হালদায় অবৈধ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে তাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সম্পৃক্ত করতে হবে। হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্য অর্থনীতি ও পরিবেশের একটি অমূল্য সম্পদ। এটিকে বাঁচাতে সুসংগঠিত, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ এবং বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে হালদাকে তার প্রাকৃতিক গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।

back to top