হালদা নদী দেশের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের এক অনন্য সম্পদ। কিন্তু এই নদী এখন অবৈধ মৎস্য শিকারের কবলে পড়ে সংকটের মুখে। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও হালদায় অবৈধ জাল বসানো এবং মা মাছ শিকার থামছে না। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাউজান মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন শিকারীকে আটক করা হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে ৮ হাজার মিটার কারেন্ট ও ঘেরজাল।
হালদা নদী শুধু একটি জলাশয় নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। প্রতি বছর চৈত্র মাস থেকে মা মাছ এই নদীতে ডিম ছাড়তে আসে, যা থেকে উৎপন্ন রেণু পোনা দেশের মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অবৈধ শিকারের কারণে এই প্রাকৃতিক চক্র বিঘিœত হচ্ছে। অভিযানে জব্দ করা জালের পরিমাণ ও মূল্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকাÑইঙ্গিত দেয় যে, এটি কোনো ছোটখাটো অপরাধ নয়, বরং সংগঠিতভাবে চলমান একটি লাভজনক ব্যবসায়। শাস্তি হিসেবে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এই অপরাধের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
এই সময়ে মা মাছের আগমন শুরু হয়েছে, যা হালদার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। ডিম আহরণকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, হ্যাচারিগুলোর সংস্কার চলছে। কিন্তু অবৈধ শিকার এই প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপরও আঘাত। হালদার জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা, নৌ পুলিশের টহল ও বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রশংসনীয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়।
আমরা বলতে চাই, হালদায় অবৈধ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে তাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সম্পৃক্ত করতে হবে। হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্য অর্থনীতি ও পরিবেশের একটি অমূল্য সম্পদ। এটিকে বাঁচাতে সুসংগঠিত, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ এবং বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে হালদাকে তার প্রাকৃতিক গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
হালদা নদী দেশের জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদের এক অনন্য সম্পদ। কিন্তু এই নদী এখন অবৈধ মৎস্য শিকারের কবলে পড়ে সংকটের মুখে। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও হালদায় অবৈধ জাল বসানো এবং মা মাছ শিকার থামছে না। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাউজান মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন শিকারীকে আটক করা হয়েছে, উদ্ধার হয়েছে ৮ হাজার মিটার কারেন্ট ও ঘেরজাল।
হালদা নদী শুধু একটি জলাশয় নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। প্রতি বছর চৈত্র মাস থেকে মা মাছ এই নদীতে ডিম ছাড়তে আসে, যা থেকে উৎপন্ন রেণু পোনা দেশের মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অবৈধ শিকারের কারণে এই প্রাকৃতিক চক্র বিঘিœত হচ্ছে। অভিযানে জব্দ করা জালের পরিমাণ ও মূল্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকাÑইঙ্গিত দেয় যে, এটি কোনো ছোটখাটো অপরাধ নয়, বরং সংগঠিতভাবে চলমান একটি লাভজনক ব্যবসায়। শাস্তি হিসেবে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এই অপরাধের মাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
এই সময়ে মা মাছের আগমন শুরু হয়েছে, যা হালদার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। ডিম আহরণকারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, হ্যাচারিগুলোর সংস্কার চলছে। কিন্তু অবৈধ শিকার এই প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপরও আঘাত। হালদার জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা, নৌ পুলিশের টহল ও বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রশংসনীয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়।
আমরা বলতে চাই, হালদায় অবৈধ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সচেতন করে তাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সম্পৃক্ত করতে হবে। হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্য অর্থনীতি ও পরিবেশের একটি অমূল্য সম্পদ। এটিকে বাঁচাতে সুসংগঠিত, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। প্রশাসন, স্থানীয় জনগণ এবং বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে হালদাকে তার প্রাকৃতিক গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।