যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরে পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বর্জ্য পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট বিষাক্ত ধোঁয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশেষ করে সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় ময়লা পোড়ানোর ফলে ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা বাতাসের সঙ্গে মিশে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে। এই পরিস্থিতি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সুরক্ষার ব্যর্থতার একটি উদাহরণ।
ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি মূলত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য স্থাপিত হলেও, এটি এখন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী, ময়লা পোড়ানোর ফলে ভারী ধাতু নির্গত হয়, যা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই স্বীকৃতি সত্ত্বেও, সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব উদ্বেগজনক।
দেশে বর্জ্য পোড়ানোর সমস্যা নতুন নয়। শহর থেকে গ্রাম, সব জায়াগায় উন্মুক্ত স্থানে বা অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য পোড়ানোর প্রবণতা পরিবেশ দূষণের একটি প্রধান কারণ। ঝুমঝুমপুরের এই ঘটনা আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবকে সামনে নিয়ে আসে। একটি ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে আধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহারের পরিবর্তে ময়লা পোড়ানোর মতো প্রাচীন ও ক্ষতিকর পদ্ধতির ওপর নির্ভরতা অগ্রহণযোগ্য।
এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবিলম্বে প্ল্যান্টটির কার্যক্রম পরিদর্শন করে ময়লা পোড়ানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্ল্যান্ট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিবেশ আইনের কঠোর প্রয়োগ করা উচিত।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন কম্পোস্টিং বা রিসাইক্লিং, বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার জন্য একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম গঠন এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা দেয়া জরুরি।
ঝুমঝুমপুরের এই ঘটনা জাতীয় পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতি পুনর্বিবেচনার তাগিদ দিচ্ছে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমাদের এমন প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে যে, কোনো নাগরিককে বিষাক্ত ধোঁয়ার মধ্যে শ্বাস নিতে বাধ্য করা হবে না।
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরে পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে বর্জ্য পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট বিষাক্ত ধোঁয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশেষ করে সন্ধ্যা ও রাতের বেলায় ময়লা পোড়ানোর ফলে ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা বাতাসের সঙ্গে মিশে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করছে। এই পরিস্থিতি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সুরক্ষার ব্যর্থতার একটি উদাহরণ।
ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি মূলত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য স্থাপিত হলেও, এটি এখন পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী, ময়লা পোড়ানোর ফলে ভারী ধাতু নির্গত হয়, যা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই স্বীকৃতি সত্ত্বেও, সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব উদ্বেগজনক।
দেশে বর্জ্য পোড়ানোর সমস্যা নতুন নয়। শহর থেকে গ্রাম, সব জায়াগায় উন্মুক্ত স্থানে বা অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য পোড়ানোর প্রবণতা পরিবেশ দূষণের একটি প্রধান কারণ। ঝুমঝুমপুরের এই ঘটনা আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবকে সামনে নিয়ে আসে। একটি ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে আধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহারের পরিবর্তে ময়লা পোড়ানোর মতো প্রাচীন ও ক্ষতিকর পদ্ধতির ওপর নির্ভরতা অগ্রহণযোগ্য।
এই সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবিলম্বে প্ল্যান্টটির কার্যক্রম পরিদর্শন করে ময়লা পোড়ানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্ল্যান্ট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিবেশ আইনের কঠোর প্রয়োগ করা উচিত।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন কম্পোস্টিং বা রিসাইক্লিং, বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার জন্য একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম গঠন এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা দেয়া জরুরি।
ঝুমঝুমপুরের এই ঘটনা জাতীয় পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতি পুনর্বিবেচনার তাগিদ দিচ্ছে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমাদের এমন প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে যে, কোনো নাগরিককে বিষাক্ত ধোঁয়ার মধ্যে শ্বাস নিতে বাধ্য করা হবে না।