ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া জনবল সংকট, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সরকারি হাসপাতালটি বিপর্যস্ত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এক সময় সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যার হাসপাতাল। পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সুবিধা তেমন বাড়েনি।
চার লাখ মানুষের উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল এটি। অথচ সেখানে চিকিৎসক আছেন মাত্র সাতজন। কাগজে কলমে পদসংখ্যা ১৭ হলেও বাস্তবে তার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এর মধ্যেও অনেকেই নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকের দেখা পান না। কেউ কেউ ওষুধ পান না। কেউবা হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে অবহেলা ও হেনস্তার শিকার হন।
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়াই কষ্টকর, কারণ হাসপাতালের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, সামনে ময়লার ভাগার, বিদ্যুৎ না থাকলে আলো-বাতাসের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি এখন ‘নামেই হাসপাতাল’-বাস্তবে রোগীর সেবা নেই, আছে শুধু অব্যবস্থাপনা।
সরকারি হাসপাতাল সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা। সেখানে যদি চিকিৎসা না পাওয়া যায়, তবে মানুষ কোথায় যাবে? বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে খরচ বহন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব।
সদরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনবল ও সরঞ্জামের অভাবের বিষয়টি তারা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করতে চাই। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং রোগী সেবা পর্যবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া জনবল সংকট, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সরকারি হাসপাতালটি বিপর্যস্ত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এক সময় সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যার হাসপাতাল। পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সুবিধা তেমন বাড়েনি।
চার লাখ মানুষের উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল এটি। অথচ সেখানে চিকিৎসক আছেন মাত্র সাতজন। কাগজে কলমে পদসংখ্যা ১৭ হলেও বাস্তবে তার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এর মধ্যেও অনেকেই নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকের দেখা পান না। কেউ কেউ ওষুধ পান না। কেউবা হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে অবহেলা ও হেনস্তার শিকার হন।
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়াই কষ্টকর, কারণ হাসপাতালের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, সামনে ময়লার ভাগার, বিদ্যুৎ না থাকলে আলো-বাতাসের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি এখন ‘নামেই হাসপাতাল’-বাস্তবে রোগীর সেবা নেই, আছে শুধু অব্যবস্থাপনা।
সরকারি হাসপাতাল সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা। সেখানে যদি চিকিৎসা না পাওয়া যায়, তবে মানুষ কোথায় যাবে? বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে খরচ বহন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব।
সদরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনবল ও সরঞ্জামের অভাবের বিষয়টি তারা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করতে চাই। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং রোগী সেবা পর্যবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।