alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া জনবল সংকট, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সরকারি হাসপাতালটি বিপর্যস্ত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এক সময় সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যার হাসপাতাল। পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সুবিধা তেমন বাড়েনি।

চার লাখ মানুষের উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল এটি। অথচ সেখানে চিকিৎসক আছেন মাত্র সাতজন। কাগজে কলমে পদসংখ্যা ১৭ হলেও বাস্তবে তার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এর মধ্যেও অনেকেই নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকের দেখা পান না। কেউ কেউ ওষুধ পান না। কেউবা হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে অবহেলা ও হেনস্তার শিকার হন।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়াই কষ্টকর, কারণ হাসপাতালের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, সামনে ময়লার ভাগার, বিদ্যুৎ না থাকলে আলো-বাতাসের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি এখন ‘নামেই হাসপাতাল’-বাস্তবে রোগীর সেবা নেই, আছে শুধু অব্যবস্থাপনা।

সরকারি হাসপাতাল সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা। সেখানে যদি চিকিৎসা না পাওয়া যায়, তবে মানুষ কোথায় যাবে? বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে খরচ বহন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব।

সদরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনবল ও সরঞ্জামের অভাবের বিষয়টি তারা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করতে চাই। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং রোগী সেবা পর্যবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাছাড়া জনবল সংকট, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সরকারি হাসপাতালটি বিপর্যস্ত। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এক সময় সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যার হাসপাতাল। পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সুবিধা তেমন বাড়েনি।

চার লাখ মানুষের উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল এটি। অথচ সেখানে চিকিৎসক আছেন মাত্র সাতজন। কাগজে কলমে পদসংখ্যা ১৭ হলেও বাস্তবে তার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এর মধ্যেও অনেকেই নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকের দেখা পান না। কেউ কেউ ওষুধ পান না। কেউবা হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে অবহেলা ও হেনস্তার শিকার হন।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়াই কষ্টকর, কারণ হাসপাতালের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী, সামনে ময়লার ভাগার, বিদ্যুৎ না থাকলে আলো-বাতাসের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালটি এখন ‘নামেই হাসপাতাল’-বাস্তবে রোগীর সেবা নেই, আছে শুধু অব্যবস্থাপনা।

সরকারি হাসপাতাল সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা। সেখানে যদি চিকিৎসা না পাওয়া যায়, তবে মানুষ কোথায় যাবে? বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে খরচ বহন করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব।

সদরপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনবল ও সরঞ্জামের অভাবের বিষয়টি তারা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করতে চাই। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং রোগী সেবা পর্যবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

back to top