alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ইউক্যালিপটাস গাছের চাষ। এটি শুধু মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে না, নিচের পানি শোষণ করে কৃষির ভবিষ্যৎকেও বিপদের মুখে ফেলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানিকগঞ্জের কৃষকরা দ্রুত বাড়তি আয়ের আশায় এই গাছ লাগাচ্ছেন। ইউক্যালিপটাস দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই কয়েক বছরের মধ্যেই কাঠ বিক্রি করা যায়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা হারাচ্ছেন উর্বর মাটি, ভূগর্ভস্থ পানি ও ভবিষ্যতের ফসলের নিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস লাগানোর পর তাঁদের জমিতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ একদিকে প্রচুর পানি শোষণ করে, অন্যদিকে আশপাশের মাটিকে করে তোলে রুক্ষ ও প্রাণহীন। এর পাতাও সহজে পচে না, ফলে মাটিতে জৈব সার তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। এই গাছের নিচে কোনো ঘাস বা অন্য গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিরাও বাসা বাঁধে না।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই এই গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। সরকারও বিষয়টি উপলব্ধি করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন, বিক্রি ও রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এসব গাছ দেশের জীববৈচিত্র্যরে জন্য হুমকি। এর পরিবর্তে দেশীয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবু মানিকগঞ্জসহ দেশের অনেক অঞ্চলে ইউক্যালিপটাস চাষ অব্যাহত রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি। এই অবৈধ চারা বিক্রি বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি গণসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ইউক্যালিপটাস গাছের চাষ। এটি শুধু মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে না, নিচের পানি শোষণ করে কৃষির ভবিষ্যৎকেও বিপদের মুখে ফেলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানিকগঞ্জের কৃষকরা দ্রুত বাড়তি আয়ের আশায় এই গাছ লাগাচ্ছেন। ইউক্যালিপটাস দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই কয়েক বছরের মধ্যেই কাঠ বিক্রি করা যায়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা হারাচ্ছেন উর্বর মাটি, ভূগর্ভস্থ পানি ও ভবিষ্যতের ফসলের নিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস লাগানোর পর তাঁদের জমিতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ একদিকে প্রচুর পানি শোষণ করে, অন্যদিকে আশপাশের মাটিকে করে তোলে রুক্ষ ও প্রাণহীন। এর পাতাও সহজে পচে না, ফলে মাটিতে জৈব সার তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। এই গাছের নিচে কোনো ঘাস বা অন্য গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিরাও বাসা বাঁধে না।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই এই গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। সরকারও বিষয়টি উপলব্ধি করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন, বিক্রি ও রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এসব গাছ দেশের জীববৈচিত্র্যরে জন্য হুমকি। এর পরিবর্তে দেশীয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তবু মানিকগঞ্জসহ দেশের অনেক অঞ্চলে ইউক্যালিপটাস চাষ অব্যাহত রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি। এই অবৈধ চারা বিক্রি বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি গণসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।

back to top