মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ইউক্যালিপটাস গাছের চাষ। এটি শুধু মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে না, নিচের পানি শোষণ করে কৃষির ভবিষ্যৎকেও বিপদের মুখে ফেলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জের কৃষকরা দ্রুত বাড়তি আয়ের আশায় এই গাছ লাগাচ্ছেন। ইউক্যালিপটাস দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই কয়েক বছরের মধ্যেই কাঠ বিক্রি করা যায়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা হারাচ্ছেন উর্বর মাটি, ভূগর্ভস্থ পানি ও ভবিষ্যতের ফসলের নিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস লাগানোর পর তাঁদের জমিতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ একদিকে প্রচুর পানি শোষণ করে, অন্যদিকে আশপাশের মাটিকে করে তোলে রুক্ষ ও প্রাণহীন। এর পাতাও সহজে পচে না, ফলে মাটিতে জৈব সার তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। এই গাছের নিচে কোনো ঘাস বা অন্য গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিরাও বাসা বাঁধে না।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই এই গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। সরকারও বিষয়টি উপলব্ধি করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন, বিক্রি ও রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এসব গাছ দেশের জীববৈচিত্র্যরে জন্য হুমকি। এর পরিবর্তে দেশীয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবু মানিকগঞ্জসহ দেশের অনেক অঞ্চলে ইউক্যালিপটাস চাষ অব্যাহত রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি। এই অবৈধ চারা বিক্রি বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি গণসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ইউক্যালিপটাস গাছের চাষ। এটি শুধু মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে না, নিচের পানি শোষণ করে কৃষির ভবিষ্যৎকেও বিপদের মুখে ফেলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জের কৃষকরা দ্রুত বাড়তি আয়ের আশায় এই গাছ লাগাচ্ছেন। ইউক্যালিপটাস দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই কয়েক বছরের মধ্যেই কাঠ বিক্রি করা যায়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা হারাচ্ছেন উর্বর মাটি, ভূগর্ভস্থ পানি ও ভবিষ্যতের ফসলের নিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকই জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস লাগানোর পর তাঁদের জমিতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ একদিকে প্রচুর পানি শোষণ করে, অন্যদিকে আশপাশের মাটিকে করে তোলে রুক্ষ ও প্রাণহীন। এর পাতাও সহজে পচে না, ফলে মাটিতে জৈব সার তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। এই গাছের নিচে কোনো ঘাস বা অন্য গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিরাও বাসা বাঁধে না।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই এই গাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। সরকারও বিষয়টি উপলব্ধি করে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন, বিক্রি ও রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এসব গাছ দেশের জীববৈচিত্র্যরে জন্য হুমকি। এর পরিবর্তে দেশীয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবু মানিকগঞ্জসহ দেশের অনেক অঞ্চলে ইউক্যালিপটাস চাষ অব্যাহত রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি। এই অবৈধ চারা বিক্রি বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি গণসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।