alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রুখতে হবে বাল্যবিয়ে

: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশে বাল্যবিয়ের হার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্যবিয়ের ওপর এক জরিপ প্রতিবেদন থেকে জনা গেছে এই তথ্য। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহায়তায় জরিপটি পরিচালনা করেছে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশের গভীর একটি সমস্যা হচ্ছে বাল্যবিয়ে। ইউনিসেফের এক তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয়। আর এ ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। পরিসংখ্যানটি উদ্বেগজনক। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সময় দেশের মানুষের বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিক সংকটে পড়েছে। সে সময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই দুই কারণে বাল্যবিয়ের সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।

বাল্যবিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন দিন বাড়ছে। নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে। কীভাবে বাল্যবিয়ের লাগাম টানা যায়, তা নিয়ে নতুন নতুন প্রস্তাব, সুপারিশ, পরিকল্পনা করতে দেখা যাচ্ছে কখনো কখনো।

২০১৭ সালে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে’ বিয়ের সুযোগ রাখা হয়। তখন সমালোচকরা বলেছিলেন যে, এর মাধ্যমে আইনি ফাঁক তৈরি হয়েছে। এই ফাঁক গলে অনেকেই বাল্যবিয়ের সুযোগ নেবে। তখন সমালোচনায় সরকার কান দেয়নি।

বাল্যবিয়ে কার্যবকরভাবে বন্ধ করতে হলে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করা জরুরি। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাও জরুরি। এখনো সমাজের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কন্যাশিশুকে পরিবারের বোঝা হিসেবে দেখে। এই প্রবণতা থেকে সমাজকে বের করে আনতে হবে।

বাল্যবিয়ের অপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকহারে সচেতন করতে হবে। এটা শুধু একটি কন্যাশিশু বা তার পরিবারের ক্ষতিই করে না, দেশের অগ্রগতিকেও বাধাগ্রস্ত করে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশ অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে, অগ্রগতি হয়েছে। উন্নতি-অগ্রগতিকে টেকসই করতে হলে বাল্যবিয়ের মতো অভিশাপ থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রুখতে হবে বাল্যবিয়ে

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশে বাল্যবিয়ের হার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্যবিয়ের ওপর এক জরিপ প্রতিবেদন থেকে জনা গেছে এই তথ্য। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহায়তায় জরিপটি পরিচালনা করেছে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশের গভীর একটি সমস্যা হচ্ছে বাল্যবিয়ে। ইউনিসেফের এক তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয়। আর এ ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। পরিসংখ্যানটি উদ্বেগজনক। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সময় দেশের মানুষের বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিক সংকটে পড়েছে। সে সময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই দুই কারণে বাল্যবিয়ের সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।

বাল্যবিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন দিন বাড়ছে। নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে। কীভাবে বাল্যবিয়ের লাগাম টানা যায়, তা নিয়ে নতুন নতুন প্রস্তাব, সুপারিশ, পরিকল্পনা করতে দেখা যাচ্ছে কখনো কখনো।

২০১৭ সালে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে’ বিয়ের সুযোগ রাখা হয়। তখন সমালোচকরা বলেছিলেন যে, এর মাধ্যমে আইনি ফাঁক তৈরি হয়েছে। এই ফাঁক গলে অনেকেই বাল্যবিয়ের সুযোগ নেবে। তখন সমালোচনায় সরকার কান দেয়নি।

বাল্যবিয়ে কার্যবকরভাবে বন্ধ করতে হলে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করা জরুরি। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাও জরুরি। এখনো সমাজের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ কন্যাশিশুকে পরিবারের বোঝা হিসেবে দেখে। এই প্রবণতা থেকে সমাজকে বের করে আনতে হবে।

বাল্যবিয়ের অপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকহারে সচেতন করতে হবে। এটা শুধু একটি কন্যাশিশু বা তার পরিবারের ক্ষতিই করে না, দেশের অগ্রগতিকেও বাধাগ্রস্ত করে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশ অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে, অগ্রগতি হয়েছে। উন্নতি-অগ্রগতিকে টেকসই করতে হলে বাল্যবিয়ের মতো অভিশাপ থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

back to top