alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হাইওয়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে

: বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন চট্টগ্রামের জোলারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ও তার গাড়িচালক। ডাকাতরা তাদের কুপিয়ে আহত করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। গত শুক্রবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মহাসড়কে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, খুন, এমন কি যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। এতেই বোঝা যায়, সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা অরক্ষিত। বিশেষ করে, রাতের বেলা। এখন দেশের মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। তারা প্রতিনিয়ত এক শহর থেকে আরেক শহরে যায়। দিনে-রাতে সমানতালে পণ্য পরিবহন করতে হয়। যাত্রী সাধারণকেও নানা কাজে ঢাকা আসা-যাওয়া করতে হয়।

যানজটপূর্ণ এলাকায় গাড়ির ধীরগতি কিংবা কোনো কারণে সড়কের পাশে গাড়ি দাঁড় করালেই হানা দিচ্ছে ডাকাত বা ছিনতাইকারী চক্র। অনেক ক্ষেত্রেই ডাকাতরা নির্বিঘ্নে অপকর্ম চালাতে ব্যবহার করে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর নকল পোশাক। আর এসব ডাকাতের হামলায় প্রায়ই হতাহতের শিকার হতে হয় বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীসাধারণের। প্রাণ হাতে নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করতে হয় তাদের।

সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের দাবির মুখে গঠন করা হয়েছিল হাইওয়ে পুলিশ। অথচ পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। বরং মহাসড়ক ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। যার প্রমাণ হলো, মেঘনা টোলপ্লাজার মতো সুরক্ষিত ও জনবহুল এলাকায় ডাকাতির ঘটনা। তাও আবার খোদ হাইওয়ে থানার ওসি ও তার গাড়ি চালক ডাকাতির শিকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, হাইওয়ে পুলিশ কি করে। মহাসড়কে কোথায় কী ঘটছে কোন কিছুই হাইওয়ে পুলিশের অজানা থাকবার কথা নয়। সাধারণত মহাসড়কে যেসব জায়গায় ডাকাতি হয়, সেসব স্থান চিহ্নিতই বলা চলে। এমনও অনেক জায়গা আছে যেখানে বারবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অনেকে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ চাইলেই মহাসড়ককে ডাকাতিমুক্ত করতে পারে, কিন্তু সেদিকে তাদের মনোযোগ নেই বললেই চলে। অভিযোগ আছে, হাইওয়ে পুলিশের বেশি নজর থাকে ট্রাকের দিকে; কারণ, সেখানেই তাদের লাভ।

সড়ক-মহাসড়কের যেসব জায়গায় ডাকাতি হয় সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এখন অনেক তথ্য ও প্রযুক্তি রয়েছে। অপরাধী শনাক্ত করতে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

মহাসড়কে এভাবে ডাকাতির ঘটনা চলতে দেয়া যায় না। এসব অপরাধের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতা আনতে হবে। তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মহাসড়কে যেন কোন অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে, সে জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হাইওয়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে

বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন চট্টগ্রামের জোলারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ও তার গাড়িচালক। ডাকাতরা তাদের কুপিয়ে আহত করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। গত শুক্রবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মহাসড়কে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, খুন, এমন কি যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। এতেই বোঝা যায়, সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা অরক্ষিত। বিশেষ করে, রাতের বেলা। এখন দেশের মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। তারা প্রতিনিয়ত এক শহর থেকে আরেক শহরে যায়। দিনে-রাতে সমানতালে পণ্য পরিবহন করতে হয়। যাত্রী সাধারণকেও নানা কাজে ঢাকা আসা-যাওয়া করতে হয়।

যানজটপূর্ণ এলাকায় গাড়ির ধীরগতি কিংবা কোনো কারণে সড়কের পাশে গাড়ি দাঁড় করালেই হানা দিচ্ছে ডাকাত বা ছিনতাইকারী চক্র। অনেক ক্ষেত্রেই ডাকাতরা নির্বিঘ্নে অপকর্ম চালাতে ব্যবহার করে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর নকল পোশাক। আর এসব ডাকাতের হামলায় প্রায়ই হতাহতের শিকার হতে হয় বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীসাধারণের। প্রাণ হাতে নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করতে হয় তাদের।

সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের দাবির মুখে গঠন করা হয়েছিল হাইওয়ে পুলিশ। অথচ পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। বরং মহাসড়ক ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। যার প্রমাণ হলো, মেঘনা টোলপ্লাজার মতো সুরক্ষিত ও জনবহুল এলাকায় ডাকাতির ঘটনা। তাও আবার খোদ হাইওয়ে থানার ওসি ও তার গাড়ি চালক ডাকাতির শিকার।

প্রশ্ন হচ্ছে, হাইওয়ে পুলিশ কি করে। মহাসড়কে কোথায় কী ঘটছে কোন কিছুই হাইওয়ে পুলিশের অজানা থাকবার কথা নয়। সাধারণত মহাসড়কে যেসব জায়গায় ডাকাতি হয়, সেসব স্থান চিহ্নিতই বলা চলে। এমনও অনেক জায়গা আছে যেখানে বারবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অনেকে বলেন, হাইওয়ে পুলিশ চাইলেই মহাসড়ককে ডাকাতিমুক্ত করতে পারে, কিন্তু সেদিকে তাদের মনোযোগ নেই বললেই চলে। অভিযোগ আছে, হাইওয়ে পুলিশের বেশি নজর থাকে ট্রাকের দিকে; কারণ, সেখানেই তাদের লাভ।

সড়ক-মহাসড়কের যেসব জায়গায় ডাকাতি হয় সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এখন অনেক তথ্য ও প্রযুক্তি রয়েছে। অপরাধী শনাক্ত করতে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

মহাসড়কে এভাবে ডাকাতির ঘটনা চলতে দেয়া যায় না। এসব অপরাধের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতা আনতে হবে। তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মহাসড়কে যেন কোন অপরাধ সংঘটিত হতে না পারে, সে জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top