alt

সম্পাদকীয়

মেট্রোরেলেও লেগেছে পোস্টার

: বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

মেট্রোরেলেও লেগেছে পোস্টার। এর পিলার হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির প্রচারমাধ্যম। পিলারে পিলারে দেয়াল লিখনও ‘শোভা’ পাচ্ছে। কেউ কেউ দিনেদুপুরেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বেছে নিচ্ছেন মেট্রোরেলের পিলারকে। দেশের গর্বের এক প্রতীক এখনই হতে শুরু করেছে কুৎসিত।

রাজধানী বা দেশেরই একটা অংশ মেট্রোরেল। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা এই গণপরিবহন বিদ্যমান পোস্টার অপসংস্কৃতিরই শিকার হয়েছে।

রাজধানী তো বটেই, দেশের এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে যেখানে পোস্টার বা দেয়াল লিখনের ‘শৈল্পিক স্পর্শ’ পড়েনি। বাছবিচারহীনভাবে পোস্টার লাগানো এবং যেখানে যখন খুশি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার অপসংস্কৃতিকে চালু রেখে মেট্রোরেলের সৌন্দর্য রক্ষা করার কাজ মোটেও সহজ নয়।

মেট্রোরেলের সৌন্দর্য রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এর সৌন্দযর্হানী ঘটিয়ে পোস্টার লাগানো হলে দন্ড দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের আহ্বান বা দন্ডের ভয় কোনাটাই কাজ করছে বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক দলগুলোর একশ্রেণীর নেতাকর্মী আইন ভঙ্গ করায় এগিয়ে আছে।

খেয়ালখুশি মতো পোস্টার লাগানোর অপসংস্কৃতি থেকে কেবল মেট্রোরেলই নয়, পুরো দেশকেই রক্ষা করতে হবে। এজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে, নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানোর অপরাধে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। কোন কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকে দেয়া হয়েছে নোটিশ। আমরা আশা করব, পিলারে পোস্টার যে বা যারাই লাগাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেবল নোটিশ পাঠিয়ে কাজ সারলে চলবে না।

দেশে এখনও অনেক মানুষ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কেন উন্মুক্ত স্থান বা কোন স্থাপনাকে বেছে নেয় সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে। এটা কী পাবলিক টয়লেটের অভাবের কারণে নাকি অপসংস্কৃতির কারণে ঘটছে? কারণ যেটাই হোক তার সমাধান করতে হবে। নইলে মেট্রোরেলকেও রাজধানীর বাকি স্থাপনাগুলোর পরিণতি বহন করতে হবে। স্মার্ট দেশ বা স্মার্ট সিটি গড়তে হলে আগে স্মার্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

tab

সম্পাদকীয়

মেট্রোরেলেও লেগেছে পোস্টার

বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

মেট্রোরেলেও লেগেছে পোস্টার। এর পিলার হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির প্রচারমাধ্যম। পিলারে পিলারে দেয়াল লিখনও ‘শোভা’ পাচ্ছে। কেউ কেউ দিনেদুপুরেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বেছে নিচ্ছেন মেট্রোরেলের পিলারকে। দেশের গর্বের এক প্রতীক এখনই হতে শুরু করেছে কুৎসিত।

রাজধানী বা দেশেরই একটা অংশ মেট্রোরেল। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা এই গণপরিবহন বিদ্যমান পোস্টার অপসংস্কৃতিরই শিকার হয়েছে।

রাজধানী তো বটেই, দেশের এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে যেখানে পোস্টার বা দেয়াল লিখনের ‘শৈল্পিক স্পর্শ’ পড়েনি। বাছবিচারহীনভাবে পোস্টার লাগানো এবং যেখানে যখন খুশি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার অপসংস্কৃতিকে চালু রেখে মেট্রোরেলের সৌন্দর্য রক্ষা করার কাজ মোটেও সহজ নয়।

মেট্রোরেলের সৌন্দর্য রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এর সৌন্দযর্হানী ঘটিয়ে পোস্টার লাগানো হলে দন্ড দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের আহ্বান বা দন্ডের ভয় কোনাটাই কাজ করছে বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক দলগুলোর একশ্রেণীর নেতাকর্মী আইন ভঙ্গ করায় এগিয়ে আছে।

খেয়ালখুশি মতো পোস্টার লাগানোর অপসংস্কৃতি থেকে কেবল মেট্রোরেলই নয়, পুরো দেশকেই রক্ষা করতে হবে। এজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে, নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানোর অপরাধে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। কোন কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকে দেয়া হয়েছে নোটিশ। আমরা আশা করব, পিলারে পোস্টার যে বা যারাই লাগাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেবল নোটিশ পাঠিয়ে কাজ সারলে চলবে না।

দেশে এখনও অনেক মানুষ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কেন উন্মুক্ত স্থান বা কোন স্থাপনাকে বেছে নেয় সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে। এটা কী পাবলিক টয়লেটের অভাবের কারণে নাকি অপসংস্কৃতির কারণে ঘটছে? কারণ যেটাই হোক তার সমাধান করতে হবে। নইলে মেট্রোরেলকেও রাজধানীর বাকি স্থাপনাগুলোর পরিণতি বহন করতে হবে। স্মার্ট দেশ বা স্মার্ট সিটি গড়তে হলে আগে স্মার্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

back to top