alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে রাজশাহীতে একজন নারী মারা গেছেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে তিনি খেজুরের রস খেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সাধারণত শীত মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। বাদুড়ের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। শীত মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেন গাছিরা। বাদুড় এই খেজুরের রস যখন খায়, তখন রসে তার লালা ঝরে পড়ে। এছাড়াও তালের রস ও বিভিন্ন ফল খাওয়ার সময় তাতে বাদুড়ের লালা লেগে যায়। সেই রস বা ফল যখন মানুষ খায় তখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে এতে আক্রান্ত হন ৩২২ জন মানুষ। তাদের মধ্যে মারা যান ২২৯ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা খুব বেশি নয়। তবে এ রোগে মৃত্যুর হার বেশি।

নিপাহ ভাইরাসের কোনো টিকা নেই। কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। আর বিপদটা এখানেই। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকার কারণেই রোগটি প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করতে পারে। এজন্যে রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধই শ্রেয়।

নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদুড় বা পাখির আধাখাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। রস যদি খেতেই হয় তাহলে নিয়ম মেনে খেতে হবে কখনোই কাঁচা রস না খেয়ে তা ফুটিয়ে গরম করে খেতে হবে।

গত দুই দশকে দেশের ৩২টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এ রোগ বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ফরিদপুরে। যেসব এলাকার মানুষ নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় সেসব এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতে হবে। শীত মৌসুম এলেই নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে। কেননা এই মৌসুমেই নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়।

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে রাজশাহীতে একজন নারী মারা গেছেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে তিনি খেজুরের রস খেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সাধারণত শীত মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। বাদুড়ের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। শীত মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেন গাছিরা। বাদুড় এই খেজুরের রস যখন খায়, তখন রসে তার লালা ঝরে পড়ে। এছাড়াও তালের রস ও বিভিন্ন ফল খাওয়ার সময় তাতে বাদুড়ের লালা লেগে যায়। সেই রস বা ফল যখন মানুষ খায় তখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে এতে আক্রান্ত হন ৩২২ জন মানুষ। তাদের মধ্যে মারা যান ২২৯ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা খুব বেশি নয়। তবে এ রোগে মৃত্যুর হার বেশি।

নিপাহ ভাইরাসের কোনো টিকা নেই। কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। আর বিপদটা এখানেই। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকার কারণেই রোগটি প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করতে পারে। এজন্যে রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধই শ্রেয়।

নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদুড় বা পাখির আধাখাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। রস যদি খেতেই হয় তাহলে নিয়ম মেনে খেতে হবে কখনোই কাঁচা রস না খেয়ে তা ফুটিয়ে গরম করে খেতে হবে।

গত দুই দশকে দেশের ৩২টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এ রোগ বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ফরিদপুরে। যেসব এলাকার মানুষ নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় সেসব এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতে হবে। শীত মৌসুম এলেই নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে। কেননা এই মৌসুমেই নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়।

back to top