alt

সম্পাদকীয়

নার্স সংকট নিরসন করুন

: রোববার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে নার্স সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন নার্সের প্রয়োজন তিন লাখের বেশি। সেখানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছে মাত্র ৮৪ হাজার। সে অনুযায়ী দেশে নার্স আছে মাত্র ২৮ শতাংশ।

প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র দশমিক ৩০ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মানদন্ড অনুযায়ী প্রতি দশ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা। বাংলাদেশে এ সংখ্যা তিনজন। যে কারণে একজন নার্সের কাজে যতটুকু চাপ নেয়ার কথা তার থেকে তাকে ছয়গুণ বেশি চাপ নিতে হচ্ছে। এর ফলে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কাজের প্রতি উৎসাহও হারিয়ে ফেলেন। তখন রোগীকে যতটুকু সেবাদান করার কথা ততটুকু তিনি করতে পারেন না।

স্বাস্থ্যসেবার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছেন নার্স। ‘হেলথ ওয়াচ-বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্সেস ফর হেলথ’ গবেষণা বলছে- মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার একেবারে কমিয়ে আনতে হলে দক্ষ চিকিৎসকের পাশাপাশি দক্ষ নার্সও প্রয়োজন। প্রশ্ন হচ্ছে- দেশে নার্সের সংখ্যা এত কম কেন?

নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে ও বাড়তি চাপ নিয়েই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে কাজ করছেন নার্সরা। পেশাগত জীবনে তাদের নানা চাপ নিতে হয়। সামাজিক ক্ষেত্রেও তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাদের দিয়ে খুব কম বেতনে কাজ করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮৬ শতাংশ নার্স অনুপযুক্ত পরিবেশে সেবা কাজে নিয়োজিত। কর্মজীবনে পদোন্নতি পান না ৭০ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্বেও তারা মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন।

সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে আসন সীমিত। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খরচ বেশি। ফলে অনেকের পক্ষেই প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব হয় না। নার্সিং পেশা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষণের ব্যয় মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা দরকার। প্রশিক্ষণ শেষে তারা যখন কাজে যোগ দেবেন তখন তারা যেন জীবিকা নির্বাহের মতো বেতন-ভাতা পায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেশাগত কাজ করতে গিয়ে অনেক নার্স মানসিক উদ্বেগে ভোগেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা, কর্মঘণ্টা হ্রাস করা দরকার।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

নার্স সংকট নিরসন করুন

রোববার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে নার্স সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন নার্সের প্রয়োজন তিন লাখের বেশি। সেখানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছে মাত্র ৮৪ হাজার। সে অনুযায়ী দেশে নার্স আছে মাত্র ২৮ শতাংশ।

প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র দশমিক ৩০ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মানদন্ড অনুযায়ী প্রতি দশ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা। বাংলাদেশে এ সংখ্যা তিনজন। যে কারণে একজন নার্সের কাজে যতটুকু চাপ নেয়ার কথা তার থেকে তাকে ছয়গুণ বেশি চাপ নিতে হচ্ছে। এর ফলে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কাজের প্রতি উৎসাহও হারিয়ে ফেলেন। তখন রোগীকে যতটুকু সেবাদান করার কথা ততটুকু তিনি করতে পারেন না।

স্বাস্থ্যসেবার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছেন নার্স। ‘হেলথ ওয়াচ-বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্সেস ফর হেলথ’ গবেষণা বলছে- মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার একেবারে কমিয়ে আনতে হলে দক্ষ চিকিৎসকের পাশাপাশি দক্ষ নার্সও প্রয়োজন। প্রশ্ন হচ্ছে- দেশে নার্সের সংখ্যা এত কম কেন?

নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে ও বাড়তি চাপ নিয়েই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে কাজ করছেন নার্সরা। পেশাগত জীবনে তাদের নানা চাপ নিতে হয়। সামাজিক ক্ষেত্রেও তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাদের দিয়ে খুব কম বেতনে কাজ করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৮৬ শতাংশ নার্স অনুপযুক্ত পরিবেশে সেবা কাজে নিয়োজিত। কর্মজীবনে পদোন্নতি পান না ৭০ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্বেও তারা মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন।

সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে আসন সীমিত। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খরচ বেশি। ফলে অনেকের পক্ষেই প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্ভব হয় না। নার্সিং পেশা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং প্রশিক্ষণের ব্যয় মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা দরকার। প্রশিক্ষণ শেষে তারা যখন কাজে যোগ দেবেন তখন তারা যেন জীবিকা নির্বাহের মতো বেতন-ভাতা পায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেশাগত কাজ করতে গিয়ে অনেক নার্স মানসিক উদ্বেগে ভোগেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা, কর্মঘণ্টা হ্রাস করা দরকার।

back to top