alt

সম্পাদকীয়

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

: সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দেওয়ার উদ্দেশে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশে গৃহহীন কোনো মানুষ থাকবে না-এটা সরকারের অঙ্গীকার। প্রায়ই খবর পাওয়া যায় যে, ঘরবাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সচ্ছল ব্যক্তিদের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জেনেশুনেই ঘর বরাদ্দে অনিয়ম করেছে।

দরিদ্র মানুষের জন্য নেওয়া সরকারের অনেক প্রকল্পেই এমন অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত করার কথা দুস্থ নারীদের। দেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে-নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করে আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করা। বাস্তবে দেখা গেছে, অবস্থাসম্পন্ন বা আর্থিকভাবে সক্ষম নারীরাও এ তালিকায় স্থান পাচ্ছেন।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমেও। অভিযোগ রয়েছে, এ কার্যক্রমে প্রকৃত উপকারভোগীদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। প্রকৃত উপকারভোগীদের পরিবর্তে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে সচ্ছল মানুষদের। কার্ড পেতে অনেককে ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য মহৎ। সমস্যা হচ্ছে অনেক কর্মসূচিতেই একটি গোষ্ঠী অনিয়ম-দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছায়। আর প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্ছিত হয়। এর ফলে সরকারের অনেক ভালো কর্মসূচিই বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প বলে পরিচিত আশ্রয়ণ প্রকল্পও অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে-দুর্নীতি এমন সর্বগ্রাসী রূপধারণ করেছে কেন। আর এ থেকে মানুষের মুক্তি মিলবে কিভাবে। দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণ করতে হলে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এ ঘোষণার বাস্তবায়ন জরুরি। জিরো টলারেন্স নীতির কঠোর বাস্তবায়ন করা গেলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে এত অনিয়ম হতো না। আমরা আশা করব, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে দেশে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

tab

সম্পাদকীয়

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দেওয়ার উদ্দেশে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশে গৃহহীন কোনো মানুষ থাকবে না-এটা সরকারের অঙ্গীকার। প্রায়ই খবর পাওয়া যায় যে, ঘরবাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সচ্ছল ব্যক্তিদের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জেনেশুনেই ঘর বরাদ্দে অনিয়ম করেছে।

দরিদ্র মানুষের জন্য নেওয়া সরকারের অনেক প্রকল্পেই এমন অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত করার কথা দুস্থ নারীদের। দেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে-নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করে আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করা। বাস্তবে দেখা গেছে, অবস্থাসম্পন্ন বা আর্থিকভাবে সক্ষম নারীরাও এ তালিকায় স্থান পাচ্ছেন।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমেও। অভিযোগ রয়েছে, এ কার্যক্রমে প্রকৃত উপকারভোগীদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। প্রকৃত উপকারভোগীদের পরিবর্তে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে সচ্ছল মানুষদের। কার্ড পেতে অনেককে ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য মহৎ। সমস্যা হচ্ছে অনেক কর্মসূচিতেই একটি গোষ্ঠী অনিয়ম-দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছায়। আর প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্ছিত হয়। এর ফলে সরকারের অনেক ভালো কর্মসূচিই বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প বলে পরিচিত আশ্রয়ণ প্রকল্পও অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে-দুর্নীতি এমন সর্বগ্রাসী রূপধারণ করেছে কেন। আর এ থেকে মানুষের মুক্তি মিলবে কিভাবে। দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণ করতে হলে অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এ ঘোষণার বাস্তবায়ন জরুরি। জিরো টলারেন্স নীতির কঠোর বাস্তবায়ন করা গেলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে এত অনিয়ম হতো না। আমরা আশা করব, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে দেশে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

back to top