alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা রোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

: শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে গত বছর স্কুল ও কলেজ স্তরের ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৩৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে আঁচল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যাকারীদের বড় একটি অংশই মেয়ে শিক্ষার্থী। তবে গণমাধ্যমে আত্মহত্যার সব ঘটনাই প্রকাশ পায় না।

কী কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করেছে সেটাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছর আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মান-অভিমান করে, ২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে। আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া, শিক্ষকের মাধ্যমে অপমানিত হওয়া, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, মোবাইলফোন বা মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ার মতো কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। অনেকের আত্মহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার জন্য কোন একক কারণ দায়ী নয়। তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই তাদের বিষণ্ন বা বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যেই জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত সামলানোর মতো মানসিক শক্তির ঘাটতি রয়েছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা যেন আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয় সেজন্য করণীয় কী। এক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে কিছু লক্ষণ আগেই প্রকাশ পেতে শুরু করে। কাছের কিংবা আশপাশের মানুষ লক্ষণগুলো খেয়াল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অনেক আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যার লক্ষণ কারও মধ্যে থাকলে তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দিতে হবে। পাশাপাশি তাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আলাদা সেল করা যেতে পারে। সেখানে এমন ব্যবস্থা রাখা দরকার যাতে সমস্যাগ্রস্ত কোন শিক্ষার্থী যেন তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারে। তাদের সমস্যাকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এবং সেটা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা জরুরি।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে উক্ত সংগঠন বেশকিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতায় লাগাম টানা যেতে পারে। আত্মহত্যার মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী অকালে ঝরে যাক সেটা কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের সচেতন করা গেলে এবং পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজ দায়িত্বশীল হলে এমন অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা রোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে গত বছর স্কুল ও কলেজ স্তরের ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৩৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে আঁচল ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যাকারীদের বড় একটি অংশই মেয়ে শিক্ষার্থী। তবে গণমাধ্যমে আত্মহত্যার সব ঘটনাই প্রকাশ পায় না।

কী কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করেছে সেটাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছর আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মান-অভিমান করে, ২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে। আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া, শিক্ষকের মাধ্যমে অপমানিত হওয়া, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, মোবাইলফোন বা মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ার মতো কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করেছে। অনেকের আত্মহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার জন্য কোন একক কারণ দায়ী নয়। তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই তাদের বিষণ্ন বা বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যেই জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত সামলানোর মতো মানসিক শক্তির ঘাটতি রয়েছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা যেন আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয় সেজন্য করণীয় কী। এক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে কিছু লক্ষণ আগেই প্রকাশ পেতে শুরু করে। কাছের কিংবা আশপাশের মানুষ লক্ষণগুলো খেয়াল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অনেক আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যার লক্ষণ কারও মধ্যে থাকলে তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দিতে হবে। পাশাপাশি তাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আলাদা সেল করা যেতে পারে। সেখানে এমন ব্যবস্থা রাখা দরকার যাতে সমস্যাগ্রস্ত কোন শিক্ষার্থী যেন তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারে। তাদের সমস্যাকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এবং সেটা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা জরুরি।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে উক্ত সংগঠন বেশকিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতায় লাগাম টানা যেতে পারে। আত্মহত্যার মাধ্যমে কোন শিক্ষার্থী অকালে ঝরে যাক সেটা কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের সচেতন করা গেলে এবং পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজ দায়িত্বশীল হলে এমন অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে।

back to top