alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় রক্ষা করবে কে

: রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের করেরহাটে পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাতের আঁধারে যেমন, দিনের আলোয় তেমন কাটা হচ্ছে পাহাড়। এর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অতীতেও দেখা গেছে দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যাদের পাহাড় রক্ষায় কাজ করার কথা তারাই অনেক সময় পাহাড় ধ্বংস করেন। চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ এলাকার পাহাড় কাটা বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। বাস্তবে সেখানে পাহাড় কাটা চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় কাউন্সিলর একটি বাহিনী গড়ে তুলে পাহাড় ও ছড়া ধ্বংস করছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করবে কে।

প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলন নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন নিহত হয়, আহত হয় চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি।

নির্বিচারে পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে মাঝে মাঝে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে, পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া। বিশেষ করে, মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূল হোতা যারা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটার মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় রক্ষা করবে কে

রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের করেরহাটে পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাতের আঁধারে যেমন, দিনের আলোয় তেমন কাটা হচ্ছে পাহাড়। এর বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অতীতেও দেখা গেছে দিন-দুপুরে জনসম্মুখে পাহাড় কাটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যাদের পাহাড় রক্ষায় কাজ করার কথা তারাই অনেক সময় পাহাড় ধ্বংস করেন। চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ এলাকার পাহাড় কাটা বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। বাস্তবে সেখানে পাহাড় কাটা চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, স্থানীয় কাউন্সিলর একটি বাহিনী গড়ে তুলে পাহাড় ও ছড়া ধ্বংস করছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে পাহাড়গুলোকে রক্ষা করবে কে।

প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। মানুষের আগ্রাসী ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলন নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে প্রায়ই পাহাড় ধসসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

২০১৭ সালের ১২ থেকে ১৩ জুন পার্বত্য তিন জেলাসহ ছয় জেলায় পাহাড় ধসে ১৬৮ জন নিহত হয়, আহত হয় চার শতাধিক। নির্বিচারে পাহাড় ধ্বংসের কারণে নিঃশেষ হচ্ছে হয়ে যাচ্ছে গাছপালা, হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। হুমকির মুখে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি।

নির্বিচারে পাহাড় কাটা এখনই বন্ধ করতে হবে। পাহাড় কাটা রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে মাঝে মাঝে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে, পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রকৃত যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া। বিশেষ করে, মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

অভিযোগ আছে যে, অভিযানে প্রায়ই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পাহাড় কাটার মূল হোতা যারা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। আমরা বলতে চাই, পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটার মূল হোতা বা রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।

back to top