alt

সম্পাদকীয়

ঝিনাই নদীর সেতুটি দ্রুত সংস্কার করুন

: রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ঝিনাই নদীর ওপর শুয়াকৈর সেতুটি ২০২০ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পর পেরিয়ে গেছে তিন বছর। সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে ২৫ গ্রামের লাখো মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঝিনাই নদীর সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০০৬ সালে। বন্যায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সেতুর নিচ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নির্বিচারে বালু তোলা হয়েছে। তখন সেটা দেখারও কেউ ছিল না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

সেতু ভেঙে পড়ায় চরাঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে যাওয়া তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য শহরগামী মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়। যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা ভেবে কৃষকরা উৎপাদিত ফসল হাটে-বাজারে বিক্রি না করে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এতে ফসলের দাম কম পান তারা।

একটি সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার পর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি সংস্কার করা হলো না কেন? সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। সেতু ছাড়া ২৫ গ্রামের লাখো মানুষ যে দিনের পর দিন কষ্ট করছে সেটা দেখবার কেউ কি সেখানে নেই?

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে কী ভূমিকা সেটা জানা জরুরি। জনগণের দুর্ভোগ দূর করাই জনপ্রতিনিধিদের কাজ। প্রতিটি নির্বাচনের আগে তারা জনগণের কাছে সড়ক, সেতু ইত্যাদি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। বাস্তবে অনেকে নির্বাচিত হয়ে সেতু তৈরিও করেন। তবে এর কোনটি প্রয়োজনীয় আর কোনটি অপ্রয়োজনীয়- সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। দেখা যায় যেখানে সেতুর প্রয়োজন নেই সেখানে সেতু তৈরি করা হয়েছে। নদী-নালা, খাল-বিল নেই এমন স্থানে, খোলা মাঠে সেতু তৈরির নজিরও আছে। অথচ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি বন্যায় বিধ্বস্ত হলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না।

জামালপুরের ঝিনাই নদীতে সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার পর জনগণ যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তা দ্রুত নিরসন করতে হবে। সেতুটি যদি সংস্কার করা সম্ভব হয় দ্রুত তা করতে হবে। আর সংস্কার করা না গেলে প্রয়োজনে তা পুনর্নির্মাণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

ঝিনাই নদীর সেতুটি দ্রুত সংস্কার করুন

রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ঝিনাই নদীর ওপর শুয়াকৈর সেতুটি ২০২০ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পর পেরিয়ে গেছে তিন বছর। সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে ২৫ গ্রামের লাখো মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঝিনাই নদীর সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০০৬ সালে। বন্যায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সেতুর নিচ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নির্বিচারে বালু তোলা হয়েছে। তখন সেটা দেখারও কেউ ছিল না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

সেতু ভেঙে পড়ায় চরাঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে যাওয়া তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য শহরগামী মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়। যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা ভেবে কৃষকরা উৎপাদিত ফসল হাটে-বাজারে বিক্রি না করে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এতে ফসলের দাম কম পান তারা।

একটি সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার পর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি সংস্কার করা হলো না কেন? সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই। সেতু ছাড়া ২৫ গ্রামের লাখো মানুষ যে দিনের পর দিন কষ্ট করছে সেটা দেখবার কেউ কি সেখানে নেই?

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে কী ভূমিকা সেটা জানা জরুরি। জনগণের দুর্ভোগ দূর করাই জনপ্রতিনিধিদের কাজ। প্রতিটি নির্বাচনের আগে তারা জনগণের কাছে সড়ক, সেতু ইত্যাদি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। বাস্তবে অনেকে নির্বাচিত হয়ে সেতু তৈরিও করেন। তবে এর কোনটি প্রয়োজনীয় আর কোনটি অপ্রয়োজনীয়- সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। দেখা যায় যেখানে সেতুর প্রয়োজন নেই সেখানে সেতু তৈরি করা হয়েছে। নদী-নালা, খাল-বিল নেই এমন স্থানে, খোলা মাঠে সেতু তৈরির নজিরও আছে। অথচ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি বন্যায় বিধ্বস্ত হলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না।

জামালপুরের ঝিনাই নদীতে সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার পর জনগণ যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তা দ্রুত নিরসন করতে হবে। সেতুটি যদি সংস্কার করা সম্ভব হয় দ্রুত তা করতে হবে। আর সংস্কার করা না গেলে প্রয়োজনে তা পুনর্নির্মাণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top