alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

: সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সাধারণত শীত মৌসুম এলেই নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এবারও শীতে আসার পর পরই নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা গেছে বলেও জানা গেছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।

এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে খেজুরের রস। মূলত বাদুড় হচ্ছে নিপাহ ভাইরাসের বাহক। খেজুরের রস পান করা বা কোনো ফল খাওয়ার সময় বাদুড়ের মুখের লালা, প্র¯্রাব বা অন্য বর্জ্য সেই ফল বা খেজুরের রসে মিশে যায়। মানুষ সেই ফল খেলে বা কাঁচা খেজুরের রস পান করলে আক্রান্ত হতে পারে।

কেউ যদি অসতর্কতায় বা না জেনে দূষিত খেজুরের রস পান করে তাহলে তার মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে আট বা নয় দিন লাগতে পারে। প্রথমদিকে রোগীর প্রচ- জ্বর থাকতে পারে, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, বমি, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ৭০ শতাংশ।

আইইডিসিআর’র গবেষকরা বলছেন, খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেলে রসও যেমন নিরাপদ হবে এবং সেই রসের গুড়ও তেমন নিরাপদ হবে। গাছিদের রস সংগ্রহের পর ভালো মতো হাত ধুয়ে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

নিপাহ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আপাতত এর চেয়ে ভালো প্রতিকার আর নেই। কাজেই জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়ার পরপরই এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছিল। আশা করা গিয়েছিল এর মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। এটা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। কারণ এর কোনো প্রতিকার নেই কিন্তু উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে ভাইরাসটি দেশের অনেক জায়গায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এর কারণ কী? এতদিন যে সতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছিল তা কি ঠিকঠাক মতো মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? এক্ষেত্রে কোথাও কোনো গলদ আছে কিনা সেটা খুঁজে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ অব্যাহত থাকবে সেটা আমাদের আশা।

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সাধারণত শীত মৌসুম এলেই নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এবারও শীতে আসার পর পরই নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লোকজন মারা গেছে বলেও জানা গেছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।

এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে খেজুরের রস। মূলত বাদুড় হচ্ছে নিপাহ ভাইরাসের বাহক। খেজুরের রস পান করা বা কোনো ফল খাওয়ার সময় বাদুড়ের মুখের লালা, প্র¯্রাব বা অন্য বর্জ্য সেই ফল বা খেজুরের রসে মিশে যায়। মানুষ সেই ফল খেলে বা কাঁচা খেজুরের রস পান করলে আক্রান্ত হতে পারে।

কেউ যদি অসতর্কতায় বা না জেনে দূষিত খেজুরের রস পান করে তাহলে তার মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে আট বা নয় দিন লাগতে পারে। প্রথমদিকে রোগীর প্রচ- জ্বর থাকতে পারে, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, বমি, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি শতকরা ৭০ শতাংশ।

আইইডিসিআর’র গবেষকরা বলছেন, খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেলে রসও যেমন নিরাপদ হবে এবং সেই রসের গুড়ও তেমন নিরাপদ হবে। গাছিদের রস সংগ্রহের পর ভালো মতো হাত ধুয়ে নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

নিপাহ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। আপাতত এর চেয়ে ভালো প্রতিকার আর নেই। কাজেই জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়ার পরপরই এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছিল। আশা করা গিয়েছিল এর মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। এটা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। কারণ এর কোনো প্রতিকার নেই কিন্তু উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে ভাইরাসটি দেশের অনেক জায়গায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এর কারণ কী? এতদিন যে সতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছিল তা কি ঠিকঠাক মতো মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? এক্ষেত্রে কোথাও কোনো গলদ আছে কিনা সেটা খুঁজে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ অব্যাহত থাকবে সেটা আমাদের আশা।

back to top