alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

: মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সুরাহা হয়নি আজও। হাইকোর্টের নির্দেশের পর অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বহিষ্কার করেছে। তবে বহিষ্কারের পর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব গ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়নি।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ ইবি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আদালতে নির্ধারিত সময়ে ব্যবস্থাগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। বলা হয়, বাস্তবে গেস্টরুম নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে প্রকাশ পায় তার চেয়ে অনেক কম। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল।

ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তারা কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। তবে এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কতা তৎপর সেই প্রশ্ন উঠেছে। কালক্ষেপণের কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব।

গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে কিভাবে সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের ঘটনা জেনেও অনেক সময় না জানার ভান করে, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কখনো কখনো কোনো কোনো ঘটনায় হৈচৈ হলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। শিক্ষার্থী নির্যাতন প্রতিরোধ বা প্রতিকারের দায়িত্ব যাদের তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেটা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট দায়িত্বশীল নয় বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অপসংস্কৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে না। ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যারতনের ঘটনায় দ্রুত চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সুরাহা হয়নি আজও। হাইকোর্টের নির্দেশের পর অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বহিষ্কার করেছে। তবে বহিষ্কারের পর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব গ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়নি।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ ইবি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আদালতে নির্ধারিত সময়ে ব্যবস্থাগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। বলা হয়, বাস্তবে গেস্টরুম নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটে প্রকাশ পায় তার চেয়ে অনেক কম। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী এর সঙ্গে জড়িত ছিল।

ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তারা কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। তবে এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কতা তৎপর সেই প্রশ্ন উঠেছে। কালক্ষেপণের কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব।

গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে কিভাবে সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের ঘটনা জেনেও অনেক সময় না জানার ভান করে, এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কখনো কখনো কোনো কোনো ঘটনায় হৈচৈ হলে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। শিক্ষার্থী নির্যাতন প্রতিরোধ বা প্রতিকারের দায়িত্ব যাদের তারা সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেটা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট দায়িত্বশীল নয় বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অপসংস্কৃতি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে না। ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যারতনের ঘটনায় দ্রুত চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top