alt

সম্পাদকীয়

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

: মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙনে গত চার দশকে বিলীন হয়েছে ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙন থেমে নেই। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কে থাকে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সন্যাসী থেকে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল; কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ডেল্টা পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

যেসব উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নেই, সেসব অঞ্চলের মানুষদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যা বা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক মানুষ শহরে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করার পথ রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে অনেক মানুষকেই সর্বস্ব হারিয়ে আজ পথে বসতে হতো না।

সরকার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছে বলে জান যায়। সেখানকার বাসিন্দারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণের। সবকিছুর আগে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে তারা দুর্ভোগের শিকার হতো না।

আমরা আশা করব, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। নাগরিকদের দাবি মেনে উক্ত স্থানে বাঁধ তৈরি করবে। পানগুছি নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা এখন আর ত্রাণ চায় না, চায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ। বাজেটে এ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হবে বলে আশা করি।

বাঁধ নির্মাণে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে বাঁধ টেকসই হয় না। এতে উপকূলের বাসিন্দাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। রাষ্ট্রের টাকারও শ্রাদ্ধ হয়।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙনে গত চার দশকে বিলীন হয়েছে ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙন থেমে নেই। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কে থাকে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সন্যাসী থেকে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল; কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ডেল্টা পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

যেসব উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নেই, সেসব অঞ্চলের মানুষদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যা বা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক মানুষ শহরে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করার পথ রয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে অনেক মানুষকেই সর্বস্ব হারিয়ে আজ পথে বসতে হতো না।

সরকার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছে বলে জান যায়। সেখানকার বাসিন্দারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণের। সবকিছুর আগে বাঁধটি নির্মাণ করা হলে তারা দুর্ভোগের শিকার হতো না।

আমরা আশা করব, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। নাগরিকদের দাবি মেনে উক্ত স্থানে বাঁধ তৈরি করবে। পানগুছি নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা এখন আর ত্রাণ চায় না, চায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ। বাজেটে এ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হবে বলে আশা করি।

বাঁধ নির্মাণে যেন কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে বাঁধ টেকসই হয় না। এতে উপকূলের বাসিন্দাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। রাষ্ট্রের টাকারও শ্রাদ্ধ হয়।

back to top