alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

: বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখা শেষ পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। এবার কোনো প্রাণহানি হয়নি। যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তত ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে অতীতে দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ঘটেছে প্রাণহানি। বলা হচ্ছিল, ঘূর্ণিঝড় সিডরের চেয়ে মোখায় ঝুঁকি বেশি। সরকারি হিসাবে ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতে মারা গিয়েছিল ৬ ছয় হাজার মানুষ।

প্রাণহানি না হলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ সহস্রাধিক ঘর। এর প্রভাবে সোয়া ৩ লাখ মানুষ নানানভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গাছপালা ধ্বংস হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সামগ্রিক বিবেচনায় ক্ষয়ক্ষতি কম। তবে যেসব মানুষ বাড়িঘর হারিয়েছেন তাদের ক্ষতিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বহু মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন। তাদের জীবিকা হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে। যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের ঘর পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে বলে আমরা আশা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা জরুরি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে স্বাভাবিক করার লক্ষ্য নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।

এবার যেহেতু ক্ষয়ক্ষতি কম, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সংখ্যাও কম, সেহেতু ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতায় সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হবে না বলে আশা করা যায়। ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন কাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবারই দেখা যায় একটি গোষ্ঠী ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি করে। এবার যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য মনিটরিং করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বিশ্বের আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আগামীতে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুযোগ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কেবল আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে প্রস্তুতি নিলেই চলবে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবকে টেকসইভাবে মোকাবিলা করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখা শেষ পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। এবার কোনো প্রাণহানি হয়নি। যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তত ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে অতীতে দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ঘটেছে প্রাণহানি। বলা হচ্ছিল, ঘূর্ণিঝড় সিডরের চেয়ে মোখায় ঝুঁকি বেশি। সরকারি হিসাবে ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতে মারা গিয়েছিল ৬ ছয় হাজার মানুষ।

প্রাণহানি না হলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ সহস্রাধিক ঘর। এর প্রভাবে সোয়া ৩ লাখ মানুষ নানানভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গাছপালা ধ্বংস হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সামগ্রিক বিবেচনায় ক্ষয়ক্ষতি কম। তবে যেসব মানুষ বাড়িঘর হারিয়েছেন তাদের ক্ষতিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বহু মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন। তাদের জীবিকা হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে। যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের ঘর পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে বলে আমরা আশা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা জরুরি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে স্বাভাবিক করার লক্ষ্য নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।

এবার যেহেতু ক্ষয়ক্ষতি কম, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সংখ্যাও কম, সেহেতু ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতায় সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হবে না বলে আশা করা যায়। ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন কাজে যেন অনিয়ম-দুর্নীতি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবারই দেখা যায় একটি গোষ্ঠী ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি করে। এবার যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য মনিটরিং করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বিশ্বের আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আগামীতে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুযোগ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কেবল আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে প্রস্তুতি নিলেই চলবে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবকে টেকসইভাবে মোকাবিলা করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

back to top