alt

সম্পাদকীয়

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ২১ মে ২০২৩

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার উদ্যোগে ফরিদপুরে একটি বেসরকারি স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্টেডিয়াম তৈরির কথা বলে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই পদ্মা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ফলে, হুমকিতে পড়েছে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু ফরিপুরের পদ্মা নদী থেকেই নয়, দেশের অনেক জায়গায় নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এর সঙ্গে সাধারণত স্থানীয় প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকেন। যে কারণে এই বাণিজ্য বন্ধ করা যায় না। স্থানীয় প্রশাসনকে কালেভদ্রে অভিযান চালাতেও দেখা যায়। কিন্তু অভিযানে অবৈধ বালু বাণিজ্যের নেপথ্য কারিগরদের ধরা হয় না। তারা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাধারণ শ্রমিকদের ধরে জেল-জরিমানা করা হয়।

ফরিদপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে স্টেডিয়াম নির্মাণের অজুহাত তুলে পদ্মা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। বালু বাণিজ্যে জড়িতরা যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব অনিয়ম দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

২০১০ সালে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনে দেশের প্রতিটি জেলায় নদীর ক্ষতি করে এবং বেআইনি পন্থায় বালু উত্তোলন প্রতিরোধে প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফরিদপুর শহরতলীতে পাঁচটি স্থানে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে তোলা বালু বিক্রির হাট বসানো হয়। দেশের আইনে অবৈধভাবে বালু তোলার শাস্তি দুই বছর পর্যন্ত জেল এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা। আইন থাকলেও সেটা প্রয়োগ হচ্ছে না।

জনস্বার্থে বালু তোলা হলেও প্রশাসনের অনুমতি লাগে। কিন্তু স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য বালু তোলার অনুমতি নেয়া হয়নি। চক্রটি স্টেডিয়াম নির্মাণের অজুহাত তুলে বালু তুলে বাণিজ্য করছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

নদী রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। নিয়মনীতি না মেনে বেআইনিভাবে বালু তোলাটাও নদী হত্যার শামিল। এতে রাষ্ট্র এবং জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এটা জরুরিভাবে বন্ধ হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। অবৈধভাবে বালু তুলে যারা নদীর ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

রোববার, ২১ মে ২০২৩

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার উদ্যোগে ফরিদপুরে একটি বেসরকারি স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্টেডিয়াম তৈরির কথা বলে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই পদ্মা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ফলে, হুমকিতে পড়েছে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু ফরিপুরের পদ্মা নদী থেকেই নয়, দেশের অনেক জায়গায় নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এর সঙ্গে সাধারণত স্থানীয় প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকেন। যে কারণে এই বাণিজ্য বন্ধ করা যায় না। স্থানীয় প্রশাসনকে কালেভদ্রে অভিযান চালাতেও দেখা যায়। কিন্তু অভিযানে অবৈধ বালু বাণিজ্যের নেপথ্য কারিগরদের ধরা হয় না। তারা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাধারণ শ্রমিকদের ধরে জেল-জরিমানা করা হয়।

ফরিদপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে স্টেডিয়াম নির্মাণের অজুহাত তুলে পদ্মা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রির যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। বালু বাণিজ্যে জড়িতরা যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব অনিয়ম দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

২০১০ সালে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন প্রণীত হয়েছে। এ আইনে দেশের প্রতিটি জেলায় নদীর ক্ষতি করে এবং বেআইনি পন্থায় বালু উত্তোলন প্রতিরোধে প্রশাসনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফরিদপুর শহরতলীতে পাঁচটি স্থানে অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে তোলা বালু বিক্রির হাট বসানো হয়। দেশের আইনে অবৈধভাবে বালু তোলার শাস্তি দুই বছর পর্যন্ত জেল এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা। আইন থাকলেও সেটা প্রয়োগ হচ্ছে না।

জনস্বার্থে বালু তোলা হলেও প্রশাসনের অনুমতি লাগে। কিন্তু স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য বালু তোলার অনুমতি নেয়া হয়নি। চক্রটি স্টেডিয়াম নির্মাণের অজুহাত তুলে বালু তুলে বাণিজ্য করছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

নদী রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। নিয়মনীতি না মেনে বেআইনিভাবে বালু তোলাটাও নদী হত্যার শামিল। এতে রাষ্ট্র এবং জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এটা জরুরিভাবে বন্ধ হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। অবৈধভাবে বালু তুলে যারা নদীর ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top