alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

: শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছে। বহু মানুষ কাটছাঁট করে দিন যাপন করছেন। ব্যয় কমিয়েও কুলাতে পারছেন না তারা। আয় না বাড়া মানুষের পাল্লাই ভারি। বাড়তি ব্যয় আর স্থির আয়ের কারণে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন অনেকে। যাদের সঞ্চয় নেই বা সঞ্চয় ফুরিয়ে গেছে তারা চলছেন ধারদেনা করে।

অনেক পণ্যের মূল্য বাড়ার সূচক ঊর্ধ্বমুখীই আছে। বাজার থেকে এখনও মানুষকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডিম, চিনি, তেল বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সবজির দরও ঊর্ধ্বমুখী।

পেঁয়াজের দাম কমার একটা ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির কথা বলছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এখনও আমদানির পক্ষে নয়। ফলে শেষ পর্যান্ত পেঁয়াজের দরে স্বস্তির দেখা মেলেনি। পেঁয়াজের দেখাদেখি আদা-রসুনের দামও বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অভিযোগ রয়েছে, আমাদানি মূল্যের চেয়ে বেশ কয়েকগুণ বেশি দামে আদা বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের দরে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থার জন্য কার কতটুকু দায় সেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে। সরকারও বিভিন্ন সময় একই অভিযোগ করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য কোনো কোনো মন্ত্রী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার পেঁয়াজ আমদানি করে যে তাদের কারসাজি বন্ধ করা হবে সেটারও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

এখনই পেঁয়াজ আমদানি না করার পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তারা বলছেন কৃষককে লাভ দিতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রান্তিক কৃষকরা কি এতদিনেও পেঁয়াজ বিক্রি করেননি। বাস্তবতা হচ্ছে, পেঁয়াজ উৎপাদন হতে না হতেই প্রান্তিক চাষিরা তা বিক্রি করে দেন। অনেকে ফসল হওয়ার আগেই আগাম বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে তারা মূলত ধারদেনা শোধ করেন। তখন পেঁয়াজের দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। প্রান্তিক চাষির যখন বেচাবিক্রি শেষ তখন এর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা। কাদের কারণে দাম এত বাড়ল? লাভের গুড় খাচ্ছে কে?

আমদানি না করেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ চাহিদার তুলনায় এর উৎপাদন এবার যথেষ্ট। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা করা গেলে শুধু পেঁয়াজ নয়, আরও অনেক পণ্যের দামই হয়তো নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছে। বহু মানুষ কাটছাঁট করে দিন যাপন করছেন। ব্যয় কমিয়েও কুলাতে পারছেন না তারা। আয় না বাড়া মানুষের পাল্লাই ভারি। বাড়তি ব্যয় আর স্থির আয়ের কারণে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন অনেকে। যাদের সঞ্চয় নেই বা সঞ্চয় ফুরিয়ে গেছে তারা চলছেন ধারদেনা করে।

অনেক পণ্যের মূল্য বাড়ার সূচক ঊর্ধ্বমুখীই আছে। বাজার থেকে এখনও মানুষকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডিম, চিনি, তেল বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সবজির দরও ঊর্ধ্বমুখী।

পেঁয়াজের দাম কমার একটা ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির কথা বলছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এখনও আমদানির পক্ষে নয়। ফলে শেষ পর্যান্ত পেঁয়াজের দরে স্বস্তির দেখা মেলেনি। পেঁয়াজের দেখাদেখি আদা-রসুনের দামও বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অভিযোগ রয়েছে, আমাদানি মূল্যের চেয়ে বেশ কয়েকগুণ বেশি দামে আদা বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের দরে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থার জন্য কার কতটুকু দায় সেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে। সরকারও বিভিন্ন সময় একই অভিযোগ করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য কোনো কোনো মন্ত্রী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার পেঁয়াজ আমদানি করে যে তাদের কারসাজি বন্ধ করা হবে সেটারও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।

এখনই পেঁয়াজ আমদানি না করার পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তারা বলছেন কৃষককে লাভ দিতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রান্তিক কৃষকরা কি এতদিনেও পেঁয়াজ বিক্রি করেননি। বাস্তবতা হচ্ছে, পেঁয়াজ উৎপাদন হতে না হতেই প্রান্তিক চাষিরা তা বিক্রি করে দেন। অনেকে ফসল হওয়ার আগেই আগাম বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে তারা মূলত ধারদেনা শোধ করেন। তখন পেঁয়াজের দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। প্রান্তিক চাষির যখন বেচাবিক্রি শেষ তখন এর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা। কাদের কারণে দাম এত বাড়ল? লাভের গুড় খাচ্ছে কে?

আমদানি না করেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ চাহিদার তুলনায় এর উৎপাদন এবার যথেষ্ট। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা করা গেলে শুধু পেঁয়াজ নয়, আরও অনেক পণ্যের দামই হয়তো নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।

back to top