alt

opinion » editorial

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

: মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুর বৈষ্ণবপুর গ্রামে একটি শিশুকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে হাত বেঁধে রেখে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে শিশুটিকে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই অটোরিকশার চালককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সমাজের একশ্রেণীর মানুষকে প্রায়ই শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে দেখা যায়। তারা প্রকাশ্যেই সেই নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেন। তারই অংশ হিসেবে গাছের সঙ্গে বা অটোরিকশার সঙ্গে শিশুদের বেঁধে রাখা হয় বা আটকে রাখা হয়। গত শনিবার জামালপুরে একাধিক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এর জন্য এক কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।

শাসনের নামে সারা বিশ্বে শিশুরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এক তথ্য অনুযায়ী, দুই থেকে ১৪ বছরের প্রতি ৫টি শিশুর মধ্যে ৪টিই কোন না কোনভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিশুরা শারীরিক শাস্তির শিকার হয়ে থাকে। এমনকি বাড়িতে স্বজনদের কাছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কাছেও তাদের নির্যাতিত হতে হয়।

শুধু শারীরিকভাবেই যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা নয়। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ কোন কোন শিশুর পরিবার, বংশ পরিচয়, বর্ণ, ধর্ম নিয়েও অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য করে। সমাজের একটি শ্রেণী সব সময় মনে করে থাকে শিশুরা বড়দের ইচ্ছামাফিক চলবে। এমন মনোভাবের কারণে তারা মনগড়া নিয়ম শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটলেই শিশুদের নির্যাতন করে।

ঘরে-বাইরে শিশুরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তারা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশুরা মানসিক সমস্যায় ভুগলে হতাশা ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

আমরা শিশুদের প্রতি সব ধরনের নির্যাতনের অবসান চাই। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের সুরক্ষিত রাখা এবং তাদের সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার দায়িত্ব আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন বন্ধ করা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে সরকার কাজ করছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুর বৈষ্ণবপুর গ্রামে একটি শিশুকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে হাত বেঁধে রেখে নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে শিশুটিকে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই অটোরিকশার চালককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সমাজের একশ্রেণীর মানুষকে প্রায়ই শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে দেখা যায়। তারা প্রকাশ্যেই সেই নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেন। তারই অংশ হিসেবে গাছের সঙ্গে বা অটোরিকশার সঙ্গে শিশুদের বেঁধে রাখা হয় বা আটকে রাখা হয়। গত শনিবার জামালপুরে একাধিক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এর জন্য এক কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।

শাসনের নামে সারা বিশ্বে শিশুরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এক তথ্য অনুযায়ী, দুই থেকে ১৪ বছরের প্রতি ৫টি শিশুর মধ্যে ৪টিই কোন না কোনভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিশুরা শারীরিক শাস্তির শিকার হয়ে থাকে। এমনকি বাড়িতে স্বজনদের কাছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কাছেও তাদের নির্যাতিত হতে হয়।

শুধু শারীরিকভাবেই যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তা নয়। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ কোন কোন শিশুর পরিবার, বংশ পরিচয়, বর্ণ, ধর্ম নিয়েও অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য করে। সমাজের একটি শ্রেণী সব সময় মনে করে থাকে শিশুরা বড়দের ইচ্ছামাফিক চলবে। এমন মনোভাবের কারণে তারা মনগড়া নিয়ম শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটলেই শিশুদের নির্যাতন করে।

ঘরে-বাইরে শিশুরা নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তারা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশুরা মানসিক সমস্যায় ভুগলে হতাশা ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

আমরা শিশুদের প্রতি সব ধরনের নির্যাতনের অবসান চাই। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের সুরক্ষিত রাখা এবং তাদের সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার দায়িত্ব আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন বন্ধ করা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে সরকার কাজ করছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে সবার মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

back to top