alt

সম্পাদকীয়

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত প্রায় দেড় দশকে শহরগুলোতে প্লাস্টিকের ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে। শুধু রাজধানীতে বছরে মাথাপিছু প্রায় ২৩ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়, আর ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহরগুলোতে এর পরিমাণ ৩ কেজি। প্লাস্টিক বর্জ্য দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

আজ পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে শামিল হই সকলে’।

প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে রয়েছে উদাসীনতা। প্রসঙ্গক্রমে প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগের কথা বলা যায়। এটা ২০০২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাস্তবতা হচ্ছে- প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে। কেবল পণ্য বহনের কাজেই যে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে তা নয়।

এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় তার মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ৩৬ শতাংশ। সিংহভাগ প্লাস্টিকই ব্যবহারের পর ফেলা হয় যত্রতত্র। প্লাস্টিক সহজে পচে না। মাটিতে বা জলাশয়ে ফেলা প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর নানানভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ও মানুষের বিপদ বাড়ছে।

প্লাস্টিক বর্জ্য মাটিতে আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়। ফলে মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়। তাছাড়া এসব বর্জ্য পোড়ালে কার্বন মনো-অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পুরনো প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

মানুষ ও পরিবেশকে প্লাস্টিক দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। বর্জ্য যেন যেখানে সেখানে ফেলা না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্যরে পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পরিবেশ রক্ষার কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা তৈরি করেছে । এ সময়ের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা, প্লাস্টিক বর্জ্য ৩০ শতাংশ কমানো এবং ২০২৬ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা জরুরি। পাশাপাশি নাগরিকদেরও প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। সবাই মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালালে প্লাস্টিক দূষণ কমানো সম্ভব হতে পারে।

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

tab

সম্পাদকীয়

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত প্রায় দেড় দশকে শহরগুলোতে প্লাস্টিকের ব্যবহার তিনগুণ বেড়েছে। শুধু রাজধানীতে বছরে মাথাপিছু প্রায় ২৩ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়, আর ঢাকার বাইরে অন্যান্য শহরগুলোতে এর পরিমাণ ৩ কেজি। প্লাস্টিক বর্জ্য দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

আজ পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে শামিল হই সকলে’।

প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে রয়েছে উদাসীনতা। প্রসঙ্গক্রমে প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগের কথা বলা যায়। এটা ২০০২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাস্তবতা হচ্ছে- প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে। কেবল পণ্য বহনের কাজেই যে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে তা নয়।

এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় তার মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ৩৬ শতাংশ। সিংহভাগ প্লাস্টিকই ব্যবহারের পর ফেলা হয় যত্রতত্র। প্লাস্টিক সহজে পচে না। মাটিতে বা জলাশয়ে ফেলা প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর নানানভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ও মানুষের বিপদ বাড়ছে।

প্লাস্টিক বর্জ্য মাটিতে আটকে পানি ও প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান চলাচলে বাধা দেয়। ফলে মাটিতে থাকা অণুজীবগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না, জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায় এবং শস্যের ফলন কম হয়। তাছাড়া এসব বর্জ্য পোড়ালে কার্বন মনো-অক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পুরনো প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে আবার নতুন পণ্য তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

মানুষ ও পরিবেশকে প্লাস্টিক দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। বর্জ্য যেন যেখানে সেখানে ফেলা না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্যরে পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পরিবেশ রক্ষার কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা তৈরি করেছে । এ সময়ের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা, প্লাস্টিক বর্জ্য ৩০ শতাংশ কমানো এবং ২০২৬ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা জরুরি। পাশাপাশি নাগরিকদেরও প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। সবাই মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালালে প্লাস্টিক দূষণ কমানো সম্ভব হতে পারে।

back to top