alt

সম্পাদকীয়

ভিডব্লিউবির চাল নিয়ে অনিয়ম বন্ধ করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের স্বনির্ভর করতে সহায়তার জন্য সরকার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বা ‘ভিডব্লিউবি’ কার্যক্রম চালু করেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির চাল পাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, পাকা বাড়ি, জমির মালিক ও ব্যবসায়ী পরিবার। আর বাদ পড়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্ররা।

ভিডব্লিউবির আওতায় উপকারভোগী ব্যক্তিরা ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন বলে সরকার নিয়ম বেধে দিয়েছে। গ্রামীণ জনপদের দুস্থ নারীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। উদ্দেশ্য ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু চাল যদি প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে তো গরিব মানুষ উপকৃত হবে না। দেশের গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র নারীদের মুখে সরকার দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে আর সেটা প্রশাসন ও একশ্রেণির জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে।

শুধু পলাশবাড়ীর ইউনিয়নগুলোতে যে প্রকৃত অনেক উপকারভোগীকে বাদ দিয়ে সচ্ছল নারীদের ভিডব্লিউবির চাল দেয়া হচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক জায়গাতেই দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া সহায়তাগুলোয় ভাগ বসায় সচ্ছলরা। চাল দেয়ার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তারা এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে কার্ড মেলে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছি। কিন্তু অতিদরিদ্রদের চাল নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি।

পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির তালিকা তৈরি যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ভিডব্লিউবির তালিকায় সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। পলাশবাড়ীর ইউএনও আশ্বাস দিয়েছেন, উপকারভোগীদের চাল যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন। এটা ভালো কথা। আমরা চাই, প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধাটা পাক। পাশাপাশি চাল বিতরণে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব ইউনিয়নে চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ভিডব্লিউবির চাল নিয়ে অনিয়ম বন্ধ করুন

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা দুস্থ ও অতিদরিদ্রদের স্বনির্ভর করতে সহায়তার জন্য সরকার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বা ‘ভিডব্লিউবি’ কার্যক্রম চালু করেছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির চাল পাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, পাকা বাড়ি, জমির মালিক ও ব্যবসায়ী পরিবার। আর বাদ পড়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্ররা।

ভিডব্লিউবির আওতায় উপকারভোগী ব্যক্তিরা ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন বলে সরকার নিয়ম বেধে দিয়েছে। গ্রামীণ জনপদের দুস্থ নারীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। উদ্দেশ্য ভালো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু চাল যদি প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে তো গরিব মানুষ উপকৃত হবে না। দেশের গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র নারীদের মুখে সরকার দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে আর সেটা প্রশাসন ও একশ্রেণির জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে।

শুধু পলাশবাড়ীর ইউনিয়নগুলোতে যে প্রকৃত অনেক উপকারভোগীকে বাদ দিয়ে সচ্ছল নারীদের ভিডব্লিউবির চাল দেয়া হচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক জায়গাতেই দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া সহায়তাগুলোয় ভাগ বসায় সচ্ছলরা। চাল দেয়ার দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। তারা এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে কার্ড মেলে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছি। কিন্তু অতিদরিদ্রদের চাল নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি।

পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবির তালিকা তৈরি যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ভিডব্লিউবির তালিকায় সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। পলাশবাড়ীর ইউএনও আশ্বাস দিয়েছেন, উপকারভোগীদের চাল যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন। এটা ভালো কথা। আমরা চাই, প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধাটা পাক। পাশাপাশি চাল বিতরণে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব ইউনিয়নে চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটাতে হবে।

back to top