alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

: বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মানচিত্রের দিকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অংশই গ্রামাঞ্চল। আর একটি দেশের উন্নয়ের জন্য বৃহদাংশ অঞ্চলেরই উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু আমরা শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে লক্ষ্য করলেই দেখি যে আমাদের দেশের অধিকাংশ গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থা অনুন্নত। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখনও বিভিন্নভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তারা শুধু নামমাত্র পড়াশোনা করছে। অনেকেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমায় কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের সন্তানেরা শহরে গিয়ে পড়াশোনা করতে ব্যর্থ হয়। আমাদের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায় গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের একটি স্কুল গোবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। অনেক আগে স্থাপিত হলেও এর নেই কোনো উন্নয়ন। নেই উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা।

ফলে গ্রামের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা থেকে। হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য মেধা। তাদেরকে উচ্চ শিক্ষার কোনো স্বপ্নই দেখানো হয় না। তারা পায় না পড়াশোনার জন্য একজন ভালো শিক্ষক। পায় না পড়াশোনা করার মতো কোনো পরিবেশ। মেধাবী শিক্ষকরাও গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতে চান না। শুধু অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থার জন্য। আমাদের এই স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম। এই স্কুলের মতো পিছিয়ে পড়া সব স্কুলে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ দিলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। অন্যথায় দেশের বৃহদাংশ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়ার কারণে দেশ কোনোভাবেই উন্নত হতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত গ্রামের পিছিয়ে পড়া সব স্কুলে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা যেন চালু করা হয়।

রুনা লায়লা

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

মানচিত্রের দিকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অংশই গ্রামাঞ্চল। আর একটি দেশের উন্নয়ের জন্য বৃহদাংশ অঞ্চলেরই উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু আমরা শিক্ষাক্ষেত্রের দিকে লক্ষ্য করলেই দেখি যে আমাদের দেশের অধিকাংশ গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থা অনুন্নত। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখনও বিভিন্নভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তারা শুধু নামমাত্র পড়াশোনা করছে। অনেকেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমায় কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের সন্তানেরা শহরে গিয়ে পড়াশোনা করতে ব্যর্থ হয়। আমাদের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায় গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের একটি স্কুল গোবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। অনেক আগে স্থাপিত হলেও এর নেই কোনো উন্নয়ন। নেই উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা।

ফলে গ্রামের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা থেকে। হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য মেধা। তাদেরকে উচ্চ শিক্ষার কোনো স্বপ্নই দেখানো হয় না। তারা পায় না পড়াশোনার জন্য একজন ভালো শিক্ষক। পায় না পড়াশোনা করার মতো কোনো পরিবেশ। মেধাবী শিক্ষকরাও গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতে চান না। শুধু অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থার জন্য। আমাদের এই স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম। এই স্কুলের মতো পিছিয়ে পড়া সব স্কুলে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ দিলে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। অন্যথায় দেশের বৃহদাংশ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়ার কারণে দেশ কোনোভাবেই উন্নত হতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত গ্রামের পিছিয়ে পড়া সব স্কুলে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা যেন চালু করা হয়।

রুনা লায়লা

back to top